বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা হাজির হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। গতকাল মোদী সহ মোট ৭২ জন শপথ নিয়েছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই ৭২ জনের মধ্যে একটিও মুসলিম মুখ নেই! BJP তো দূর, শরিক দল সংযুক্ত জনতা দল কিংবা তেলেগু দেশম পার্টির তরফ থেকেও কোনও মুসলিম মুখকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল না।
লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা দাবি করেছিলেন, সংখ্যালঘু মুসলিমদের একাংশের ভোট নাকি এখন তাঁদের ঝুলিতে আসছে। কারোর কারোর আবার দাবি ছিল, সেই দাবির কোনও সারবত্তা নেই! তবে যদি ধরে নেওয়া হয়, সেই দাবি সত্যি ছিল, তাহলে সংখ্যালঘুদের কাছে শুভেন্দু-সুকান্তর কি মুখ থাকল?
আরও পড়ুনঃ ‘আরও অনেক…’, কী নিয়ে মন খারাপ সুকান্তর মেয়ে সৃজার? বাবাকে নিয়ে গলায় আক্ষেপের সুর
এদিকে মোদীর মন্ত্রীসভায় (Narendra Modi 3.0 Cabinet) কোনও মুসলিম মুখ না থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কেন্দ্রীয় সরকারে ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘুদের কোনও প্রতিনিধি নেই, এই বিষয়টা বিস্ময়কর, বলছেন কেউ কেউ। কারোর আবার দাবি, নো ভোট তাই নো পোস্ট!
আজ থেকে নয়, দীর্ঘদিন ধরেই সংখ্যালঘুরা BJP-র থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকে সেই প্রবণতা তইরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর সেই বিষয়টি আরও তীব্র হয়। খোদ অটল বিহারী বাজপেয়ী অবধি মানতেন যে গেরুয়া শিবিরের জন্য মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা সহজ নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় মুসলিক মুখ ছিল। ৯৮ সালে মোখতার আব্বাস নকভিকে মন্ত্রী করা হয়।

২০১৪ সালে মোদী যখন প্রথববার প্রধানমন্ত্রী হন, সেই সময়ও তাঁর মন্ত্রীসভায় দু’জন মুসলিম মুখ ছিলেন। মোখতার আব্বাস নকভি এবং নাজমা হেপতুল্লাহ। তবে উনিশ সাল থেকে পাল্টে যায় চিত্র। মোদী ২.০ জমানা থেকে মন্ত্রীসভায় আর কোনও মুসলিম মুখ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে এদেশের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যা মুসলিম। সেই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কারণ বিশ্বের বহু দেশের মোট জনসংখ্যাই ২০ কোটি নয়! আর এদিকে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনও প্রতিনিধিত্বই নেই কেন্দ্রে? রবিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।





Made in India