বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি ও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণের বোঝা আরও সঙ্কটজনক করে তুলেছে পরিস্থিতি। তবে সম্প্রতি একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে, ক্রমশ বেড়ে চলা অর্থনৈতিক এবং জ্বালানি সংকটের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে পাক সরকার।
গুপ্তধন প্রাপ্তি পাকিস্তানের (Pakistan)
সম্প্রতি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মিলেছে প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাসের সন্ধান। মারি পেট্রোলিয়াম নামক এক সংস্থা পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের সন্ধান পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে একাধিক সূত্রে। দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের মাটিতে এই বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক জ্বালানির সন্ধান শুধু দেশের জ্বালানি সঙ্কট মেটাতে সহায়তা করবে না বরং আমদানি নির্ভরতা কমাতেও সহায়ক হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন : অঙ্ক কষা হাতে বোমা বানালে আটকাতে পারবে তো রাজ্য? চরম হুঁশিয়ারি চাকরিহারা শিক্ষকদের
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মারি পেট্রোলিয়াম গত ২ মাসে এই অঞ্চলে মোট ৩টি ভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদ চিহ্নিত করেছে। এই আবিষ্কার শুধু জ্বালানি সংস্থা নয়, পাকিস্তানের জ্বালানি খাতের জন্যও অন্যতম বড় মাইল ফলক বলে মনে করছে পাক প্রশাসন। পাকিস্তানের এই জ্বালানি সংস্থা জানিয়েছে, নতুন কূপগুলি থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস এবং ১২২ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : মোদির মাস্টারস্ট্রোক! এবার ৩ দিনের শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধানমন্ত্রী, কোন কোন বিষয় নিয়ে হবে আলোচনা?
বিশেষজ্ঞদের মত, এই বিপুল পরিমাণ উত্তোলন পাকিস্তানের জ্বালানি চাহিদা অনেকটাই মেটাতে সক্ষম হবে। যার ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি অনেকটাই কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তীব্র ঘাটতির মতো গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তান।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে নতুন করে প্রাকৃতিক সম্পদের হদিস নিঃসন্দেহে কিছুটা স্বস্তি দেবে শেহবাজ শরীফ (Shahbaz Sharif) সরকারকে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ও দেশের অভ্যন্তরে নতুন অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে এই আবিষ্কার অনুঘটকের কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

মারি পেট্রোলিয়াম জানাচ্ছে, নয়া এই আবিষ্কার শুধু দেশের জ্বালানি সরবরাহকে শক্তিশালী করবে না বরং এই অঞ্চলে আরও নতুন নতুন অনুসন্ধান ও উৎপাদনের কাজকেও ত্বরান্বিত করবে। আগামী দিনে পাক সরকার ও বেসরকারি জ্বালানি সংস্থাগুলি এই সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারে এখন সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।





Made in India