বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, সেখানকার অর্থনীতির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তানকে IMF (International Monetary Fund) সহ অন্যান্য দেশের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য কার্যত হাত পাততে হয়েছে। তবে, তারপরেও যে সামগ্রিক অবস্থার খুব উন্নতি হয়েছে তা বলা চলে না। ঠিক এই আবহেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান সামনে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে যে, গত অর্থবর্ষে পাকিস্তানে দারিদ্রতার হার বেড়েছে ৩৯.৪ শতাংশ। এদিকে, দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ১.২৫ কোটিরও বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন। পাশাপাশি, দেশটিকে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানাননো হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে স্থিত ঋণদাতা গত শুক্রবার একটি খসড়া নীতি উন্মোচন করেছে। সব স্টেক হোল্ডারদের সহায়তায় পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের জন্য এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে, এক বছরের মধ্যে পাকিস্তানে দারিদ্রতার হার ৩৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯.৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চেয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব! ২০২৪-এর মধ্যেই টাটার হাত ধরে প্রথম “মেড ইন ইন্ডিয়া” চিপ আনছে ভারত
এদিকে, এর ফলে ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তানে, দৈনিক ৩.৬৫ মার্কিন ডলার আয়ের স্তরকে দারিদ্র সীমা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। খসড়া নীতিতে বলা হয়েছে যে, প্রায় ৯.৫ কোটি পাকিস্তানি এখন দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছেন।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক দিয়েছে পরামর্শ: এমতাবস্থায় সামগ্রিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ টোবিয়াস হক জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মডেল আর দারিদ্র হ্রাস করছে না এবং সমকক্ষ দেশগুলির তুলনায় এখানে জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ব্যাঙ্ক কৃষি ও রিয়েল এস্টেটের ওপর কর আরোপ তথা অপব্যয়ের সমালোচনা করেছে। অর্থাৎ, সোজা কথায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত অর্থব্যয় যাতে না ঘটে সেদিকে দেশটিকে নজর দিতে বলেছে।





Made in India