বাংলা হান্ট ডেস্ক: বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। গতবছর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কেটে গিয়েছে বহুমাস। হারিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর চেয়ার, দলের পদ। সময় গড়িয়েছে, দুর্নীতির তালিকায় একে একে নাম জড়িয়েছে বহু জনার। তবে এখনও নিজের অবস্থানেই অনড় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পূর্বের ধারা বজায় রেখে ফের নিয়োগ দুর্নীতিতে নিজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করলেন পার্থবাবু।
সূত্রের খবর, এদিন বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে পরিচিত জনের কাছে পার্থ বলেন, “আমি নিয়োগকর্তা নই, আমি মন্ত্রী ছিলাম। আমি বেআইনি কাজকে সমর্থন করি না, করব না।” পাশাপাশি বোর্ড নিজের আইনে চলে বলেও সাফ জানান তিনি। তবে কী এভাবেই দুর্নীতির সমস্ত দায় বোর্ডের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন পার্থ? বোর্ড বলতে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথা বলছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে গত মার্চ মাসেও এমনই মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
জানিয়ে রাখি, গত মঙ্গলবার শিক্ষক কেলেঙ্কারির তিন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়। এরমধ্যে পার্থ ও তার বান্ধবী অর্পিতাকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়। তবে সেদিন নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই বেশি মন্তব্য করেন পার্থ। উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থ-সহ নিয়োগ দুর্নীতির মোট ১৩ জন অভিযুক্তর শুনানি ছিল।
সেদিন সশরীরে হাজিরা দিয়ে পার্থ দাবি করেছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সবগুলিই স্বশাসিত সংস্থা। নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে মন্ত্রীর কোনও ক্ষমতা নেই বলে দাবি করেন পার্থ। সেসময় জোর গলায় মন্তব্য করে পার্থ বলেন ‘‘নিয়োগ সংস্থা এসএসসি বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ— সবটাই স্বাধীন বোর্ড। মন্ত্রী এখানে তো নিয়োগকর্তা নন।’’ পাশাপাশি এদিনও পার্থ বলেন, ‘নিয়োগকর্তা নই, মন্ত্রী ছিলাম’।

এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেও বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকা এবং বেরোনোর সময় বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পার্থ। অন্যদিকে, এদিন অভিযুক্তদের আর কত দিন এভাবে হেফাজতে রাখা হবে, আদালতে সে প্রশ্ন তোলেন তাদের আইনজীবীরা। এভাবে বছরের পর বছর কোনো মামলা চলতে পারেনা বলেও দাবি করেন তারা।





Made in India