বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অস্ত্র মজুদ ইত্যাদি ঘটনাকে ঘিরে এর আগেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। এবার ফের একবার তাদের অস্বস্তি বাড়লো। গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে বৈষ্ণবনগর এলাকা। বিশেষত সোমবারই বিজেপির ১০ জন সদস্যের সমর্থনে কালিয়াচকের ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে তৃণমূল। তারপর থেকেই উত্তেজনা ছিল ভিতরে ভিতরে।
দলের একাংশ বিজেপির সমর্থন নিয়ে এভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করাকে মোটেই ভালোভাবে দেখেননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন এক তৃণমূল নেতাই। কিন্তু বর্তমান সভাপতি দুর্গেশ সরকার ১০ জন বিজেপি সদস্য সমর্থন নিয়ে তাকে অপসারিত করে আসনে বসেন। এমনকি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মালদা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি চন্দনা সরকারও। তিনি ঘটনা হাইকমিশনে জানানোর কথাও বলেন। দলের পক্ষ থেকে একটি ধিক্কার মিছিল করা হয়।
এবার একই দিনে ফের অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূল নেতৃত্বের। খোদ তৃণমূল নেতার গাড়ি থেকেই উদ্ধার হল আগ্নেয় অস্ত্র এবং প্রায় ৫০ টি হাসুয়া। অভিযুক্ত নেতা তরুণ ঘোষ ছিলেন কালিয়াচকের ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে ওই সদস্যার নাম নিরুপমা মণ্ডল ঘোষ। সোমবার আচমকাই তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে এই অস্ত্রশস্ত্র গুলি। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে খোঁজ নিতে দেখা যায় গাড়ির মালিক তরুণ ঘোষ। অভিযুক্ত তরুণ ঘোষ অবশ্য এখন পলাতক। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। সেখানে তৃণমূল নেতার গাড়ি থেকে অস্ত্র পাওয়া যাবে তা আর নতুন কথা কী! এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এইসব নেতাদের জন্যই রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে।”





Made in India