পাকিস্তানের বিরোধিতা ইস্যুতে প্রিয়াঙ্কার পাশে দাঁড়ালো রাষ্ট্রসংঘ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় ভারতীয় সেনার হয়েই কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এই কারণে তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের ‘গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর’ পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের এই দাবিকে তোয়াক্কা না করে প্রিয়াঙ্কার পাশেই দাঁড়াল রাষ্ট্রসংঘ।

https://twitter.com/priyankachopra/status/1100454040364707840

এই ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন,”ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর কোনও বিষয়ে ব্যক্তিগত মত পোষণ করলে সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তাঁর ব্যক্তিগত মতাদর্শে ইউনিসেফের কোনও প্রতিফলন নাও থাকতে পারে। যখন তিনি ইউনিসেফের প্রতিনিধি হয়ে কথা বলবেন, তখন আমরা আশা করবো তিনি উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তেতে কথা বলবেন”।

পাকিস্তানের অভিযোগ ছিল, “ইউনিসেফের ‘গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর’ হয়ে প্রিয়াঙ্কা কীভবে এধরনের পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন”। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেখানে তাঁর চিন্তাধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এক পাকিস্তানী মহিলা। ওই মহিলা জানতে চান,”তিনি রাষ্ট্রসংঘের শান্তির দূত। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে পরমাণু বোমা আক্রমণের মতো চিন্তাকে আপনি প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এই যুদ্ধে কোনও হার-জিতের জায়গা নেই। আমার মতো লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানি আপনাকে শুরু থেকে সমর্থন করত”।

তার জবাবেই ‘দেশি গার্ল’ বলেন, ”পাকিস্তানেও আমার অনেক ভক্ত রয়েছে ঠিকই, তবে আমি ভারতীয়। আমি যুদ্ধকে সমর্থন করি না ঠিকই তবে এটাও ঠিক যে আমি দেশপ্রেমী। তাই পাকিস্তানে যাঁরা আমায় ভালোবাসেন, তাঁদের ভাবাবেগে যদি আঘাত করে থাকি, তাহলে দুঃখিত”।তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন,”আমরা প্রত্যেকেই একটি মধ্যস্থতার জায়গা থেকে বিচার করি। আপনিও নিশ্চয় তাই করেন।” হাসিমুখেই পাকিস্তানি মহিলাকে উচ্চ স্বরে কথা বলতে নিষেধ করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি মনে করিয়ে দেন,”আমরা সকলেই এখানে ভালবাসার উদ্দেশে এসেছি।”

তারপরও পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি নিজে চিঠি দিয়ে ইউনিসেফের কাছে আবেদন করেন ‘গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর’ পদ থেকে প্রিয়াঙ্কা সরানো হোক। তবে পাকমন্ত্রীর সেই আবেদনের সাপেক্ষেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রাষ্ট্রসংঘ।