বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত দু’বছরেরও বেশি সময় থেকে শিক্ষা দুর্নীতির জেরে বেহাল দশা রাজ্যের (West Bengal)। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। এখনও আটকে রয়েছে বহু নিয়োগ। চাকরি গিয়েছে বহুজনার। এদিকে আদালতে ঝুলছে আজ পর এক মামলা। সবমিলিয়ে ‘কঙ্কালসার দশা’। এই আবহেই এবার অভিযোগ, প্রবল অর্থকষ্টে ভুগছে রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি (Schools in West Bengal)।
বছর প্রায় শেষের পথে। তবে রাজ্যের কোনও সরকারি স্কুলেই কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা এসে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে দুর্ভোগে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, এত দেরি হয়ে গেলেও কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা মেলেনি। ফলে স্কুলের বিদ্যুৎ-টেলিফোন বিল মেটাতে, চার্ট, গ্লোব এসব কিনতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। বিদ্যালয় কোষাগারের এতটাই বেহাল দশা যে চক, ডাস্টার কেনার মতো খরচটুকুও জোগানো ডায় হয়ে উঠেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের যেসব স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০০০-এর বেশি, তাদের লক্ষ টাকা, যেসকল স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ২৫০-এর বেশি সেখানে ৭৫ হাজার টাকা, যে সমস্ত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০০ থেকে ২৫০-এর মধ্যে, সেখানে ৫০ হাজার টাকা এবং যেখানে পড়ুয়া সংখ্যা ১০০-র কাছাকাছি, সেই সব স্কুলের ২৫ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। যদিও অভিযোগ, বেশিরভাগ স্কুলই এই গ্রান্ট থেকে বঞ্চিত। ফলত স্কুল চালাতে একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
তথ্য বলছে, এই কম্পোজ়িট গ্রান্ট বাবদ ৪০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র এবং ৬০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেয়। প্রধান শিক্ষকদের একাংশর মতে, কেন্দ্র কম্পোজ়িট গ্রান্ট বাবদ তাদের অংশের টাকা পাঠাচ্ছে না। তাহলে এ অবস্থায় রাজ্য কেন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? তাদের প্রশ্ন, রাজ্য নিজের অংশের টাকা দিচ্ছে না কেন ? তা দিলেও কিছুটা কাজ হয়। সূত্রের খবর, এভাবে দিনের পর দিন টাকা না আসায় শেষমেষ বাধ্য হয়ে ঋণ নিয়ে স্কুল চালানোর ব্যবস্থা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: মাথায় বাজ! বকেয়া DA মামলা নিয়ে বিরাট খবর, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বদলাতেই…
যদিও এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই চলতি বছরের কম্পোজ়িট গ্রান্টের বরাদ্দ টাকা অনুমোদনের জন্য অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। তা দ্রুত অনুমোদন হয়ে যাবে বলেই আশা রাখা যায়। তাহলে চলতি মাসের শেষের দিকেই এই টাকা প্রত্যেক স্কুলে পৌঁছে যেতে পারে। তবে বছর শেষে টাকা এসে পৌঁছালেও তাতে কতটা কি সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে সন্দিহান শিক্ষকদের একাংশ।





Made in India