বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির দুরন্ত জয়ের পর বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রধানই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার থেকে শুরু করে বাদ পড়েননি কেউই। তবে একুশের নির্বাচনে বাংলায় বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছিল কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনও। দিল্লিতে কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সরাসরি তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে নিজেও দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে টিকরি বর্ডারে পাঠানো হয় দলীয় সাংসদদেরও।

অপরদিকে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষক মহা পঞ্চায়েত করেছিলেন সর্বভারতীয় কিষান মোর্চার প্রধান রাকেশ টিকাইতও। কোন দলকে স্পষ্টত সমর্থন না করলেও বিজেপি বিরোধী মঞ্চ তৈরিতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। আর স্পষ্ট বার্তা ছিল, তিনটি কৃষক বিরোধী কালো আইন ফেরত না নিলে বিজেপিকে একটিও ভোট নয়। অবশেষে বাংলার মানুষ রায় দিয়েছেন মমতার পক্ষেই। এর আগে শুভেচ্ছাবার্তা দিলেও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি রাকেশ টিকাইতের। সেই কারণেই আগামী ৯ জুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও রাজনৈতিক কারবারিদের মতে এর ভিন্নতর ব্যাখ্যাও রয়েছে। তাদের মতে এই মুহূর্তে মোদি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত বাংলা এই দুর্দান্ত জয়ের পর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও লক্ষ্য ক্রমশ দৃঢ় করছে তৃণমূল। আর সেই সূত্র ধরেই এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। রাকেশ আগেই জানিয়েছিলেন, প্রত্যেকটি নির্বাচনী মোদি বিরোধী প্রচারেই এগিয়ে আসবেন তারা। অন্যদিকে তৃণমূল চাইছে বাংলার বাইরে হাত শক্ত করতে।
ইতিমধ্যেই জয়ের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের প্রধান মুখ্যমন্ত্রীরাই। তাই আগামী দিনে ২০২৪ এ আরো এক মহাজোট দেখার সম্ভাবনা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর সেই সূত্র ধরেই রাকেশের এই সাক্ষাৎকে আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে আগামী দিনের স্ট্র্যাটিজিও আলোচিত হতে পারে এই বৈঠকে।






Made in India