বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই মহাকাল পাহাড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে দেখা মিলেছিল বিলুপ্ত প্রায় ব্ল্যাক প্যান্থার বা কালো চিতার। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মহাকাল পাহাড়ে দেখা গিয়েছিল এই প্রাণীটিকে। স্বাভাবিকভাবেই খোঁজ পেয়ে উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন বন বিভাগের কর্মীরা। এবার ফের একবার ফের ক্যামেরার সামনে দর্শন দিয়ে গেলেন এই বিলুপ্তপ্রায় ব্ল্যাক প্যান্থার। জানা গিয়েছে ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনবিভাগের তরফে বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুটি ছবি।
বনকর্মীদের অনুমান, বক্সার জনমানবহীন ঘন জঙ্গলে তাদের বসতি রয়েছে। ২০২০ সাল থেকেই বেশ কয়েকবার ক্যামেরার সামনে ধরা পড়েছে এই কালো চিতার ছবি। অবশ্য শুধু বক্সার জঙ্গলেই নয় উত্তরবঙ্গের আরও বেশ কয়েকটি জঙ্গলে এই কালো চিতার অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বনদপ্তর তরফে। তারা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের পাঁচটি সংরক্ষিত জঙ্গল মহানন্দা অভয়ারণ্য, নেওড়াভ্যালি, গরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেও কখনও-সখনও এদের দেখা মেলে।
সাধারণভাবে ভারতবর্ষে ব্ল্যাক প্যানথারের অস্তিত্ব যথেষ্ট বিরল। আসলে এটিও এক ধরনের চিতাবাঘ কিন্তু জিনগত কারণেই এর গায়ের রং কালো। বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, এরা এক ধরনের চিতাবাঘ চিতাবাঘের তুলনায় অনেক হিংস্র। দিনের আলোতে এদের কমই বের হতে দেখা যায় রাতের অন্ধকারেই বেশি সক্রিয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে সাধারণত বাঘের দেখা কমই মেলে, তবে অন্তত এবার মিলল এই বিরল চিতাবাঘের দেখা।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা প্রভীন কাশওয়ান বলেন, “২০২০ সাল থেকেই এদের বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ওঠা ছবির মাধ্যমে। বর্ষা শেষ হলেই বক্সার সংরক্ষিত এলাকায় বসানো হয় ট্র্যাপ ক্যামেরা। সাধারণভাবে বর্ষা শেষ হলেই ভুটানের দিক থেকে শিকারের উদ্দেশ্যে বক্সার অরণ্যে নেমে আসে ব্ল্যাক প্যান্থারগুলি।” বনদপ্তরের এই অধিকার আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, গত বছর থেকে দফায় দফায় যেভাবে এদের দেখা যাচ্ছে তা খুবই ভালো সংকেত। ডুয়ার্সের জৈব বৈচিত্রের কারনেই এটা ব্ল্যাক প্যান্থারদের জন্য এক অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।





Made in India