বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা পরবর্তী কালে বলিউড (Bollywood) যখন ধুকছে, তখন কার্যত স্বর্ণযুগ চলছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির। বাহুবলীর বেশ কয়েক বছর পর আবারো দক্ষিণী সিনেমায় সাফল্যের জোয়ার এসেছে। অবস্থাটা এখন এমনি, দক্ষিণ থেকে যত না তারকা বলিউডে আসছে, হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীরা সাফল্যের লোভে দক্ষিণে যাচ্ছেন বেশি। এই তালিকাতে রয়েছেন অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডনও (Raveena Tandon)।
সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টার ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবীনা। ৮০০ কোটির ব্যবসা করেছে ছবিটি। কিন্তু রবীনার মতে, আবেগের সুড়সুড়ি না থাকলে প্রথম, দ্বিতীয় কোনো পার্টই হিট হত না। বলিউড ও দক্ষিণের মধ্যে পার্থক্য একটাই। দক্ষিণী পরিচালক প্রযোজকরা এখনো পর্যন্ত তাদের সংষ্কৃতিকে ছবিতে ধরে রেখেছে।

ছবির গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে তাদের রীতি, সংষ্কৃতি। দর্শকরাও একাত্ম হয়ে উঠতে পারে। হিট হয় সিনেমা। অন্যদিকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি হলিউডের মতো হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পশ্চিমী ছোঁয়া অতিরিক্ত মাত্রায় দেখা যাচ্ছে হিন্দি ছবিগুলিতে। ভারতীয় সংষ্কৃতির ছিঁটেফোটাও নেই সেখানে। কেজিএফ এর দুটি পার্ট অ্যাকশন ঘরানার হলেও সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে আবেগ আছে বলে মত রবীনার।
এর আগে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা নামী পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও কেরিয়ারের শুরুতে তাঁর কাজ ছিল স্টুডিওর মেঝেতে বমি পরিস্কার করা! রবীনা বলেন, “এটা সত্যি। আমার প্রথমে কাজ ছিল স্টুডিওর মেঝেতে বমি পরিস্কার করা। আমি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকেই প্রহ্লাদ কক্করের সহকারী হিসাবে কাজ করতাম।’
তখন থেকেই তিনি শুনতেন, পর্দার পেছনে কী করছেন। তাঁর তো পর্দার সামনে থাকা উচিত। কিন্তু রবীনা বলেন, তাঁর কখনোই মনে হয়নি যে তিনি অভিনেত্রী হতে পারব। এমনিই এই ইন্ডাস্ট্রিতে চলে এসেছেন তিনি।





Made in India