বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) বিশ্বকাপের (2023 ODI World Cup) আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) একটি তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলেছে। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়াকে দুটি ওডিআইতে হারিয়ে সিরিজটি জিতে নিয়েছে ভারত। রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটা দুই দলের কাছেই একটি প্রস্তুতি ম্যাচের মতন। আর সেই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তান্ডব করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের দুই তারকা ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজ এবং যশপ্রীত বুমরাকে এদিন ধ্বংস করে দেয় অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। ডেভিড ওয়ার্নার আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন। ৩৪ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা সহ ৫৬ রানের একটি ইনিংস খেলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার শিকার হন তিনি। আর আউট হওয়ার পর ধ্বংসলীলা চালিয়ে যান এবং অপর ওপেনার মিচেল মার্শ।
রাজকোটের গরমের জন্য দুই ব্যাটারই কিছুক্ষণ পর নাকাল হয়ে যান। বারবার এনার্জি ড্রিংক এবং বরফ মোড়া টাওয়েলের সাহায্যে নিজেদের পিচে দণ্ডায়মান অবস্থায় রেখেছিলেন দুজনেই। এমন অবস্থায় দুজনেই শর্ট রান বা ডাবল নেওয়ার চেষ্টা ছেড়ে বড় শট খেলে রান কুড়ানোর দিকে বেশি আগ্রহী ছিলেন। আর সেই লক্ষ্যে তারা সফলও হন। মাত্র চার রানের জন্য নিজের শতরান হাতছাড়া করেন মিচেল মার্শ। ৬১ বলে ৭৪ রান করে সিরাজের শিকার হন স্টিভ স্মিথ।
তারা দুজন আউট হওয়ার পরে মার্নাস লাবুশানে ৫৮ বলে ৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। পরপর কয়েকটা উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরে পৌছলেও প্রথমদিকে যতটা উচ্চতায় তারা ইনিংসটিকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে হয়েছিল সেটা সম্ভব হয়নি। এরজন্য অবশ্য বুমরার দুর্ধর্ষ ডেথ বোলিংকেও কৃতিত্ব দিতে হয়। আজ নিজের ১০ ওভারে ৮১ রান দিলেও ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এতে সামিল আছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশানেদের মতো তারকাদের উইকেট। একই কাণ্ড হয় মহম্মদ সিরাজের সাথেও। নিজের প্রথমদিকের ওভারগুলোতে অতিরিক্ত রান দিয়েছিলেন। কিন্তু ডেথ ওভারগুলিতে কৃপণ বোলিং করেন। ৯ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া কুলদীপ দলে ফিরে ৮ ওভারে ৪৮ রান দিলেও ২টি উইকেট নেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে ৩ তারকার পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত BCCI! গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারিয়ে দিতে পারে ভারতকে
কিন্তু রাজকোটের এই উইকেট নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন প্রাক্তন ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। ধারাভাষ্যকারের কাজ করার সময় তিনি এই পিচকে হাইওয়ের সঙ্গে তুলনা করে ব্যঙ্গ করেন। তার কথায় প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল যে বিশ্বকাপে যদি বিসিসিআই এই জাতীয় পিচ প্রস্তুত করে, তাহলে ভারতীয় দল কোন না কোন ম্যাচে গিয়ে বিপাকে পড়বে। বোলারদের জন্য কোনও সাহায্যই থাকছে না এক্ষেত্রে। ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ণ শক্তির অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেই ক্ষমতা রয়েছে যাতে তারা ভারতীয় বোলিংকে এই রকম পরিস্থিতিতে ধ্বংস করে দিতে পারে।





Made in India