বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় এক বছর হতে চলল। আদালতে চলছে মামলা, চলছে তদন্ত। এরই মাঝে আর জি কর মামলায় (RG Kar Case) নয়া মোড়। এবার সিএফএসএল দিল্লির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ তিলোত্তমার পক্ষের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদারের। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সিবিআইয়ের জমা করা রিপোর্টের পাল্টা রিপোর্ট জমা করেছেন তিলোত্তমার আইনজীবী। আর তাতেই সামনে হাড়হিম করা তথ্য। যা থেকে তদন্তের মোড় একেবারে ঘুরে যেতে পারে।
তিলোত্তমার শরীরে হাত দিয়েছিলেন আরও কেউ? RG Kar Case
আর জি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ছিল, গোটা ঘটনার সঙ্গে কী সঞ্জয় রায় একাই জড়িত নাকি আরও কেউ রয়েছে পর্দার আড়ালে? এবার সেই প্রশ্নই আরও জোরালো হল। মেয়ের খুনের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কী না তা জানতে সম্প্রতি হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ডিএনএ বিশেষজ্ঞ তথা ন্যাশনাল সায়েন্স চেয়ার পার্থপ্রতিম মজুমদারের দ্বারস্থ হন তিলোত্তমার বাবা-মা।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদারের রিপোর্ট সিবিআইয়ের জমা করা রিপোর্ট থেকে একেবারেই ভিন্ন। হাইকোর্টে ডিএনএ বিশেষজ্ঞর জমা পড়া সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে তিলোত্তমা-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায় ছাড়াও ক্রাইম সিনে উপস্থিত ছিলেন আরও একজন।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/KNxRLWOGTZA?si=laMrmJi6XV5mm_vs
রিপোর্ট অনুযায়ী ক্রাইম সিনে উপস্থিত ছিলেন একজন মহিলা। রিপোর্ট বলছে, ক্রাইম সিনে সঞ্জয় ছাড়াও অন্য পুরুষের উপস্থিতির বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তাহলে কী সত্যিই ক্রাইম সিনে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতির হদিস মিলেছে? মামলার পরবর্তী শুনানিতে ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদারের মতামত জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: TMC-র ১২ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কাদের কপাল খুলল?
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই নির্যাতিতার পরিবার (Victims Family) তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ফের তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তারা। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ছিল, মূল অপরাধী সঞ্জয় ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ বারংবার তুলেছিলেন তাঁরা।