বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সিংহভাগ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মমতা। তা সত্ত্বেও এখনও কর্মবিরতি ওঠেনি। বুধবার ফের নবান্নে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা (RG Kar Case)। জানা যাচ্ছে, আজ জুনিয়র চিকিৎসকদের ৩০ জনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নবান্ন সভাঘরে বৈঠক হবে। তার আগে আন্দোলন নিয়ে বিরাট বার্তা দিলেন ডাক্তাররা।
-
আন্দোলন নিয়ে কী বললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (RG Kar Case)?
জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) দাবি মতো কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা পদেও নতুন ব্যক্তিদের বসানো হয়েছে। তবু এখনও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাঁদের আন্দোলন এখনও চলছে। আজ নবান্নে বৈঠকে যাওয়ার আগে আন্দোলন আরও তীব্রতর করে তোলার আর্জি জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের আন্দোলনের চাপেই সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায়, তাঁরা কাজে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালগুলিতে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ CBI-এর রিপোর্ট দেখে সুপ্রিম কোর্ট বিচলিত কেন? এবার বোমা ফাটালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
প্রতিবাদকারীরা বলেন, আমরা চাই প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে শৌচালয়, বিশ্রামকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্যানিক বাটন বসানো হোক। সেই সঙ্গেই হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে মহিলা পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হোক (RG Kar Case)। এর পাশাপাশি দুর্নীতি নির্মূল এবং টাস্ক ফোর্স গঠনের কথাও তাঁরা বলেছেন।

জুনিয়র চিকিৎসকরা চান, কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি হোক। কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড ফাঁকা রয়েছে, সেটা যেন রোগীরা জানতে পারেন। তাঁরা বলেন, হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বদলে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের কথাও বলেছেন আন্দোলনকারীরা।
সেই কারণে সাধারণ মানুষের জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদন, এই আন্দোলন (RG Kar Case) আরও তীব্র করে তুলতে হবে। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে সরকারের লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া এখনই কর্মবিরতি বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়। আজ নবান্নের বৈঠকের পর কী হয় সেটাই দেখার।





Made in India