বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ঘনিয়ে উঠল ‘অভয়া’ মৃত্যু রহস্য। মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও ব্যবহার করা হয়েছিল তাঁর মোবাইল। এমনি অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হন আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের (RG Kar) নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা মা। শিয়ালদহ আদালতে পুরো ঘটনাটি উল্লেখ করে একটি সিনোপসিস জমা করেছেন তাঁরা মুখবন্ধ খামে। কিন্তু পরে রিপোর্ট ফেরত দেয় আদালত।
মৃত্যুর পরেও সক্রিয় আরজিকর (RG Kar) নির্যাতিতার মোবাইল?
এদিন আদালতে নিহত চিকিৎসকের (RG Kar) বাবা মা দাবি করেন, মেয়ের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও ব্যবহার করা হয়েছিল নির্যাতিতার মোবাইল ফোন। ডাক্তারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ‘লিভ করেছে’ নম্বরটি। ডাক্তাররাই এই খবর পরিবারকে জানিয়েছে। মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া সিনোপসিসে একথাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ওই সিনোপসিসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পরে রিপোর্ট ফিরিয়ে দেয় আদালত।

আদালতের দ্বারস্থ বাবা মা: বিচারক এদিন প্রশ্ন করেন, নির্যাতিতার পরিবার যদি নতুন কোনো তথ্য জানাতে চায়, তদন্তে সহযোগিতা করতে চায় তাহলে সিবিআইয়ের সঙ্গে কেন যোগাযোগ করছেন না? উত্তরে অভয়ার (RG Kar) বাবা মা বলেন, সিবিআই তাঁদের কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না।
আরো পড়ুন : ‘বলার সুযোগ দিন’, আদালতে ‘ঝড়’ তুললেন কল্যাণ, কোন মামলায়?
তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই: উল্লেখ্য, নির্যাতিতার (RG Kar) মোবাইল ফোন এখন রয়েছে সিবিআই হেফাজতে। সূত্রের খবর বলছে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই আধিকারিকদের তরফে নানান গ্রুপ থেকে বেরোনো হতে পারে। এই ঘটনাটিও তেমনই কিছু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিবিআই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এখনও।
আরো পড়ুন : বুধে দিঘা বনাম মুর্শিদাবাদ! অক্ষয় তৃতীয়াতেই রাজ্যে বড় কর্মসূচীর ঘোষণা শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, সিবিআই এদিন তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করে আদালতে। তাতে ১০০ জন অভিযোগকারীর চিঠি থেকে একাধিক ব্যক্তির থেকে জোগাড় করা প্রায় ২০০ র বেশি ছবি এবং ৩২ টিবি সাইজের একটি সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি ১২ জন সাক্ষীকে জেরা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্টে।





Made in India