বাংলাহান্ট ডেস্ক: রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly) কি তৃণমূলমুখী (Trinamool Congress)? গত বেশ কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আসলে শোনা গিয়েছিল, বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নেই সাংসদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরোক্ষে বেসুরো বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। উপরন্তু জল্পনার আগুন দ্বিগুণ উসকে দিয়ে কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হয় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
২১ জুলাই আসতে দিন কয়েক দেরি। রটেছিল, ওইদিন বা তার আগেই সবুজ শিবিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিতে পারেন রূপা। খবর কতটা সত্য তা জানালেন সাংসদ নিজেই। সংবাদ মাধ্যমের কাছে পালটা প্রশ্ন করলেন, কী করতে যাবেন তিনি? নিজের মাথার ফাটাটা দেখাতে?

স্পষ্ট কথা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের, সবাই বিক্রি হয় না। এ রাজ্যে তাঁর জন্ম। যত কেসই দিক না কেন, তাড়াতে তাঁকে পারবে না। ২১ জুলাই শহিদ দিবস নিয়েও কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি তিনি। ওইদিন বাস মালিকদের ধাক্কা মেরে, ভয় দেখিয়ে লোক আনানো হবে বলে মন্তব্য করেন সাংসদ। আর যদি কেউ রাজি না হয় তাহলে বাস নিয়ে বেরোনোই বন্ধ করে দেওয়া হবে। রূপার কটাক্ষ, তৃণমূল সরকারে আসার পর বিজেপির যতজন শহিদ হয়েছে তার সংখ্যা বরং আরো বেশি।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ফুলবদল করছেন, এই গুঞ্জনটা ছড়ালোই বা কীকরে? সাংসদের উত্তর, কেউ হয়তো কল্পনা করছেন, স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর নাম নিয়ে হাইপ তোলার চেষ্টা চলছে। তবে তিনি একথাও বলেছেন, কারোর সাহস নেই তাঁকে বলার। কারণ সবাই তো বিক্রি হয় না। তিনি বিজেপিতে আছেন, বিজেপিতেই থাকবেন। এমনকি গেরুয়া শিবিরও তাঁকে তাড়াতে পারবে না, জোর গলায় দাবি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এর আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেছেন যে রাজনীতিতে এলেন কেন তিনি। কেউ আসে কিছু করতে আর কেউ কেউ আসে কিছু হতে। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছিলেন রাজনীতিতে কিছু করতে। আর তিনি গর্বিত যে তিনি বিজেপির একজন কার্যকর্তা হতে পেরে গর্বিত।





Made in India