বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে চাঁচাছোলা সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। যুব তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভানেত্রী তিনি। বিতর্ক তাঁর পিছু পিছু্ ঘোরে। প্রাক্তন নির্বাসিত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রসঙ্গে খোঁজখবর করতে তাঁকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পালটা কটাক্ষ ছুড়লেন সায়নী।
আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে সায়নীর নাম জড়াতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। কুন্তল ঘোষের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। সায়নী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যাই হয়ে তদন্তকারীরা সবরকম সহযোগিতা তিনগ করবেন।

সেই মতো প্রথম বার ইডির গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হলেও দ্বিতীয় বার আর তাদের তলবে হাজিরা দেননি সায়নী। বরং জরুরি নথি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ইডির দফতরে। তারপর থেকে প্রায়ই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ব্যতিক্রম হল না শহিদ দিবসের মঞ্চেও।
এদিন ফিল্মি ডায়ালগে ইডি গোয়েন্দাদের সোজাসুজি বার্তা দিলেন সায়নী। ‘ইয়ে সর কাটেগা লেকিন ঝুঁকেগা নেহি’, এই সুরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। এই ভাবেই যেন বুঝিয়ে দিয়েছেন সায়নী যে ইডি সিবিআইয়ের সমনের ভয় তিনি পান না।
এর আগে সায়নী কটাক্ষ করেছিলেন, তদন্তকারীদের উপরে অনেক রকম চাপ থাকে। তাই তারা তলব করতেই পারেন। এ বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের নবজোয়ারকেও আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি।
নাম না করেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন সায়নী। ভোটের আগে ‘বহিরাগত’ থেকে ভোট হিংসার ব্যাপারে তদন্ত করতে কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসা নিয়েও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি তিনি। সায়নীর কথায়, মণিপুর বা উত্তরপ্রদেশে কখনোই যায় না এই টিম। শুধু বাংলাতেই আসে। তাই এখানে একটি বাড়ি ভাড়া করে তাদের পাকাপাকি ভাবে থেকে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন সায়নী।





Made in India