বাংলাহান্ট ডেস্ক: তাঁর অপর নাম ‘ফেলুদা’। বাঙালির প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করতে করতে ফেলুদা নামটা একরকম উপাধির মতোই জুড়ে গিয়েছে সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi Chakraborty) নামের সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত ফেলু মিত্তির হয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন তিনি। বড়পর্দা এবং ছোটপর্দা মিলিয়ে বিবিধ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। দশকের পর দশক ধরে নিজের শিল্পীসত্ত্বা, অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। সদ্য অবসর নিয়েছেন তিনি।
একা সব্যসাচী নয়, তাঁর গোটা পরিবারই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীও (Mithu Chakraborty) দাপুটে অভিনেত্রী। বাবা মায়ের দেখানো পথে হেঁটে অভিনয় জগতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন দুই ছেলে গৌরব এবং অর্জুন। আবার বড় বউমা ঋদ্ধিমাও ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাই বাড়িতে সবসময়ই অভিনয় এবং শিল্প চর্চা হতেই থাকে।

নয় নয় করে দাম্পত্য জীবনের অনেক গুলো বছর পার করে ফেলেছেন সব্যসাচী মিঠু। কিন্তু পেশাগত জীবন ছাড়া তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনো মুখরোচক গসিপ ছড়ায়নি। ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবনে যেটা খুবই সাধারণ ব্যাপার বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু সব্যসাচীর চরিত্রে কেউ কোনোদিনই কাদা ছেটাতে পারেননি। এ নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন মিঠু। একবার অভিনেত্রী নিজের মুখেই বলেছিলেন, তাঁর স্বামীর মতো মানুষ হয় না।
সব্যসাচী এবং মিঠুর পরিচয় অনেক ছোট থেকেই। আসলে অভিনেতা ছিলেন মিঠু চক্রবর্তীর মায়ের বহু দূর সম্পর্কের ভাই। সেই হিসাবে অভিনেত্রীর সম্পর্কে মামা হতেন তিনি। ছোটবেলায় সব্যসাচীকে মামা বলেই ডাকতেন মিঠু। মজা করে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তাঁর টেপজামা পরার বয়স থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে চেনা পরিচয়।
তবে তাঁদের বিয়েটা কিন্তু ঠিক করেছিলেন পরিবারের বড়রাই। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে ছিলেন মিঠু। বহু দূর সম্পর্কের হওয়ায় তাঁদের বিয়েতে বাধা ছিল না কোনো। সেই থেকে একসঙ্গে পথচলা শুরু। পায়ে পায়ে অনেকগুলো বছরই একত্রে কাটিয়ে দিলেন তাঁরা।





Made in India