বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েক বছর আগে সংবাদমাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল পানামা পেপার লিক কান্ড। সরকারি করে ফাঁকি দেওয়া একাধিক তাবড় তাবড় নাম জড়িয়ে পড়েছিল এই কান্ডে। ফের একবার এ ধরনের একটি পেপার প্রকাশিত করল ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস বা আইসিআইজে। সারা বিশ্বের প্রায় দেড়শ টি সংস্থার ৬০০ সাংবাদিক যুক্ত ছিলেন এই তদন্তের সঙ্গে। গোপন সূত্রে পাওয়া প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ কাগজপত্র স্ক্যান করে এই সমস্ত নাম গুলি তুলে ধরা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যানডোরা পেপার লিক’।
ভারতে এই পেপারটি প্রকাশ করেছে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। জানা গিয়েছে, এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রায় ৩৮০ জন ভারতীয়র। এদের অনেকেই রীতিমত প্রথিতযশা। যেমন এই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার ও তার স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকারের , তেমনি আবার নাম রয়েছে পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির বোন পূরবী মোদি এবং কিংবদন্তি ব্যবসায়ী অনীল আম্বানিরও। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত নাম সামনে আসতে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন বিদেশি সেল কোম্পানির মাধ্যমে কর ফাঁকি দেওয়ার কাজ চালাচ্ছিলেন ভারতের এই সমস্ত নামী ব্যক্তিত্বরা। শুধু ভারতই নয় প্রায় ৭০০ জন পাকিস্তানীরও নাম রয়েছে এই কান্ডে, তাদের মধ্যে অনেকেই আবার বর্তমান ইমরান খান সরকারের মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশ সম্পদ মন্ত্রীও। একইসঙ্গে নাম উঠে এসেছে জল সম্পদ মন্ত্রী চৌধুরী মুনিস এলাহীরও।

জানিয়ে রাখি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শচীন টেন্ডুলকার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মৃন্ময় মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, শচীনের ক্ষেত্রে যে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে তার কর প্রদত্ত তহবিল থেকে লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিমের (এলআরএস) অধীনে করা হয়েছিল। তার ট্যাক্স রিটার্নে এর সম্পূর্ণ উল্লেখ রয়েছে। একইভাবে পূরবী মোদি এবং অনীল আম্বানির আইনজীবীদের তরফেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একইসঙ্গে আইসিআইজের প্রকাশিত এই রিপোর্টে নামছিল বায়োকন প্রোমোটার কিরণ মজুমদার শাহেরও। তার তরফেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।





Made in India