বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নজরে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আরজি করে মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহকারী দু’জনের নাম উঠেছে এসেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং নামের এই দুই ব্যক্তি ছিলেন সন্দীপের (Sandip Ghosh) যাবতীয় দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’!
সিবিআই স্ক্যানারে সন্দীপ (Sandip Ghosh) ঘনিষ্ঠ সুমন, সিং!
হাওড়ার সাঁকরাইলের হাটগাছা নিবাসী সুমন এবং বিপ্লব দু’জনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এরপর সুমনের মেডিক্যাল শপে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সুমন শুরু থেকেই মেডিক্যাল পেশার সঙ্গে যুক্তি ছিলেন। আরজি করে (RG Kar Hospital) সামগ্রী সরবরাহ করার সূত্রে প্রাক্তন অধ্যক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। আস্তে আস্তে হয়ে ওঠেন সন্দীপের ‘রাইট হ্যান্ড’।
অন্যদিকে বিপ্লবের বাবা ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের একজন সাধারণ কর্মী। বিপ্লবের আবার ছেলেবেলা থেকেই আঁকার হাত ছিল খুব ভালো। এরপর বাবার সূত্রে হাসপাতালে পোস্টার, ব্যানার লেখার কাজ শুরু করে সে। সেখান থেকে সুমনের সঙ্গে আলাপ। দু’জনে শুরু করেন মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহের কাজ। আস্তে আস্তে সন্দীপের ‘খাস’ লোক হয়ে ওঠেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘বডি চাই’! নবান্ন অভিযান নিয়ে গোপন ভিডিও ফাঁস তৃণমূলের, আটক ২ বিজেপি নেতা
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সন্দীপের সকল দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়াল সুমন এবং বিপ্লবের। মেডিক্যাল সামগ্রী থেকে শুরু করে মরদেহ বিক্রি, নানান কোম্পানির সঙ্গে কমিশনের বেসিসে কাজ পাওয়ানো, সবটাই সামলাতেন সুমন এবং বিপ্লব।

মেডিক্যাল কলেজের সাধারণ কর্মীর ছেলে বিপ্লব একসময় সাইকেল চালিয়ে আঁকার শিক্ষকের কাজ করতো। এখন তাঁরই বিরাট বাড়ি, একাধিক গাড়ি। আন্দুল রোডে ওষুধের দোকান। জানা যাচ্ছে, এই দোকানের আড়ালেই চলতো সকল দুর্নীতি। শুরুতে দোকানে গেলেও পরবর্তীতে কর্মচারীদের হাতে সবটা ছেড়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন শুরু করে সুমন। বর্তমানে সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে উঠে এসেছে এই দুই ব্যক্তির নাম। এবার এই তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।





Made in India