বাংলা হান্ট ডেস্ক : আপামর বাঙালির কাছে এক বড় আবেগের নাম হল দূর্গা পুজা (Durga Puja)। আর এই পুজার সূচনা হয় মহালায়ার (Mahalaya) হাত ধরে। তাই তো মহালয়াকে নিয়ে নস্টালজিয়ার শেষ নেই। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) উদাত্ত কণ্ঠে ‘চণ্ডীপাঠ’ (Chandipath) থেকে শুরু করে টিভির পর্দায় প্রভাতি অনুষ্ঠান__সবকিছু নিয়েই বাঙালির উত্তেজনার শেষ নেই। বিশেষ করে টিভির পর্দায় কাকে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে সেটা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
হালফিলের বাংলা চ্যানেলগুলিতে যেন কোনও প্রতিযোগিতার আসর। কে কত ভালো আসর জমাতে পারছে তা নিয়ে চলে তুল্যমূল্য বিচার। চ্যানেলের সমস্ত মুখ্য অভিনেত্রীকেই কোনও না কোনও রূপে দেখা যায়। যদিও এইসব অনুষ্ঠান সেইভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি বঙ্গমানসে। তাদের মনে আজও গেঁথে আছে ডিডি বাংলার সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলায় যখন প্রথমবার সেলুলয়েডের পর্দায় মহালয়া সম্প্রচার হয় তখন দেবী দুর্গা রূপে ধরা দেন সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মত সম্প্রচার হয় সেই অনুষ্ঠান। সংযুক্তা তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গুরুজী গোবিন্দ কুট্টির ফোন যায় সংযুক্তার কাছে। তিনিও রাজি হয়ে যান। বছর ১৮ এর সংযুক্তা পৌঁছে যান টেলিভিশনের পর্দায়।
আরও পড়ুন : ‘ছেলের বৌদের মা হতে পারবোনা!’ বিয়ের পর আলাদা থাকার শর্ত দিয়েছিলেন মিঠু চক্রবর্তী
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মত তাকেও আপন করে নেন গোটা বাংলা। মাত্র ১৮ বছরের সংযুক্তার তেজ, রূপ, নাচ, রুদ্ররূপ দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছিল গোটা বাংলা। সেই রেশ এমনই যে, আজও মহালয়ার ভোরে বাঙালির মন সংযুক্তাকেই খোঁজে। পরবর্তী সময়ে হেমা মালিনী, হালফিলের শুভশ্রী, শ্রাবন্তী__কেউই মুছে ফেলতে পারেনি সংযুক্তার ক্যারিশ্মা।
আরও পড়ুন : বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কাছে হেরে যান উত্তম কুমারও! মহানায়কের কর্মকাণ্ডে চটেছিল জনতাও

১৯৯৫ সালে তার যাদু দেখে ১৯৯৬ সালে আবারও ডাক পড়ল সংযুক্তার। মানুষের দাবি মেনেই আবারও একবার দুর্গা রূপে সেজে উঠলেন তিনি। কলকাতা দূরদর্শনের খ্যাতিও বাড়ল কয়েকগুণ। আজও সেই অনুষ্ঠানের কাছে ফিকে লাগে হালফিলের জাঁকজমকপূর্ণ প্রভাতি অনুষ্ঠান। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র যেমন এক এবং অদ্বিতীয়, সংযুক্তাও তেমনই এক এবং অদ্বিতীয়। একবার এক সাক্ষাৎকারে সংযুক্তা জানিয়েছিলেন, মহিষাসুরমর্দিনীর জন্য হবিষ্যি খেতেন। স্টুডিওর খাবার খেয়ে শ্যুটিং করতেননা তিনি।





Made in India