বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দিন ক্রমেই বড় হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তালিকা। সম্প্রতি শিক্ষক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে যুব তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। আজ তার তিন দিনের ইডি হেফাজত শেষে সোমবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময় বড়সড় বোমা ফাটালেন নেতা।
সোমবার যখন তাকে সিজিও থেকে বের করা হচ্ছিলো তখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি পরে যান শান্তনু। সাংবাদিকদের লাগাতার প্রশ্নে একসময় মুখ খোলেন নেতা। বলেন, ‘এই কেসের মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল (Kuntal ghosh)। ও ডাইভার্ট করানোর জন্য এসব করছে। এর তার নাম বলছে।’
এখানেই থেমে যাননি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত শান্তনু। জোর গলায় বলেন, ‘কুন্তল একদিকে নজর ঘোরাচ্ছে আর অন্য দিকে নিজের টাকাগুলো সাইড করছে।’ কোথায় সাইড করছে? এই প্রশ্ন করার আগেই শান্তনু বলেন, ‘কুন্তল ওর টাকা অন্য রাজ্যে সাইড করছে।’ তবে কী সত্যিই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে ভিন রাজ্যে? হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুর এদিনের মন্তব্যের পর এই জল্পনা আরও কিছুটা জোড়ালো হল।
প্রসঙ্গত, এ বছর জানুয়ারি মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন হুগলীর তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। কুন্তল গ্রেফতারির পর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে একে একে উঠে এসেছে গোপাল দলপতি, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়, সোমা চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত, কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের নাম। তবে এদের মধ্যে গোপাল-হৈমন্তীও আগেই দাবি করেন কুন্তল শুধুমাত্র নিজের দিক থেকে সকলের নজর সরানোর জন্য বাকিদের নাম তুলছেন।

অন্যদিকে, হুগলী তৃণমূলের দুই যুবনেতা শান্তনু-কুন্তলের সম্পর্ক ছিল দাদা-ভাইয়ের ছিল বলেই সকলে জানে। অর্থাৎ, কুন্তলের ব্যক্তিগত বিষয়েও শান্তনু অবগত থাকতে পারেন বলেও ধরে নেওয়া যায়। তবে কী শান্তনুর কথা মতো সত্যিই অন্য রাজ্যে দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন কুন্তল? উঠছে প্রশ্ন। এদিন শান্তনু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আগামী দিনে প্রমাণ হবে আমি নির্দোষ।’





Made in India