বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের অবস্থা জারী করার পরও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় প্রবল সংকটের মুখোমুখী রয়েছে ভারত সরকার। ভারতে এখনও অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি। এই মুহুর্তে সোস্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

স্পর্শ না করে হাতকে জীবানুমুক্ত করার জন্য বেঙ্গালুরুর নবম শ্রেনীর পড়ুয়া ডি যুভা একটি টাচ মি নট ডিপেন্ডার নামে একটি স্যানিটাইসার ডিসপেন্সার তৈরি করেছে। এই স্যানিটাইসার ডিসপেন্সার হাতের গতি অনুভব করলে তরল স্যানিটাইজার সরবরাহ করবে। উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেছেন, “COVID-19 এর কারনে স্পর্শ করতে প্রত্যেকেই ভয় পায়। যখন অফিস এবং অন্যান্য জায়গায় সাধারণ স্যানিটাইজার বোতল ব্যবহার করা হয়, তখন অনেকে বোতলটি স্পর্শ করতেন। মারাত্মক ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার উচ্চ ঝুঁকি থাকে। সেখান থেকেই, আমি এই স্যানিটাইজার ডিসপেনসারটি তৈরি করার ধারণাটি ভেবেছিলাম। ”
এই মুহুর্তে করোনার যে গতিপ্রকৃতি তাতে ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। যে কোনো মুহুর্তে আমরা করোনা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাব। এই পরিস্থিতিতে বোম্বে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি-বি) এর একটি দল একটি “ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ” তৈরি করেছে যা দূর থেকে হৃদস্পন্দন শুনতে এবং তাদের রেকর্ড করতে পারে।জানা যাচ্ছে, রোগীর বুক থেকে প্রাপ্ত ডেটা বা শব্দ বেতারভাবে ব্লুটুথ ব্যবহার করে চিকিত্সকের কাছে প্রেরণ করা সম্ভব। যার ফলে চিকিৎসকদের রোগীর কাছে যেতে হবে না, কমবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
পাশাপাশি করোনা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিল গুয়াহাটি আই আই টি। তারা তৈরি করে ফেলেছে এমন এক যন্ত্র যা মাত্র ৩০ সেকেন্ডে জীবানু মুক্ত করে ফেলবে বিশাল এলাকা। জানা যাচ্ছে, সরকারি নির্দেশে এই যন্ত্র বানানো হয়েছে যা খুব কম সময়ে একটা বিরাট অংশ জীবানুমুক্ত করতে পারবে৷ পাশাপাশি তারা রোগিদের কাছে খাবার ও অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দেওয়ার জন্য রোবট তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করছে।
Corona virus, technology, করোনার ভাইরাস, প্রযুক্তি, Bengaluru, বেঙ্গালুরু





Made in India