বাংলা হান্ট ডেস্ক : মায়াপুরের ইসকনের (International Society for Krishna Consciousness) এক পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীকে যৌন হেনস্থার (Sexual Harrasment) অভিযোগ উঠল এক মহারাজের বিরুদ্ধে । নদিয়ার নবদ্বীপ থানার মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের মহারাজ জগদ্ধাত্রী দাসের ওরফে জয়ন্ত কুমার সাহার বিরুদ্ধে নবদ্বীপ (Nabadwip) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। অভিযুক্ত পলাতক। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ৩৭৭ (অপ্রাকৃতিক অপরাধ), এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানো) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কী হয়েছিল ঘটনা? দিন কয়েক আগে ইস্কনেরই এক নিরাপত্তা রক্ষীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে এক মহারাজের বিরুদ্ধে। জানা যায়, অভিযুক্ত মহারাজ জগদ্ধাত্রী দাস ইসকন মন্দিরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে ইসকনের ওই নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ভালো ব্যবহার এবং মিষ্টি কথা বলে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত মহারাজ ৷ তাঁর ব্যবহারে যথেষ্ট খুশি ছিলেন ওই নিরাপত্তা রক্ষী। দিন কয়েক আগে তাঁকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত মহারাজ । মহারাজের ডাকে তাঁর অফিস ঘরে যান নিরাপত্তা রক্ষী ।

অভিযোগ, এর পরেই দরজা বন্ধ করে দেন মহারাজ। এর পর শুরু হয় শারীরিক অত্যাচার। পুরুষ ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে মহারাজ যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এই অপরাধের পর মহারাজ টাকার প্রলোভন দেখান এবং তাঁকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ ৷ এই কথা বাইরে কেউ জানতে পারলে, ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে কাজ থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে নাকি মহারাজ হুমকি দেন । এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই নিরাপত্তা রক্ষী । দিন দুয়েক বাদেই অবশেষে নবদ্বীপ থানায় অভিযুক্ত মহারাজের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
নিগৃহীত ওই নিরাপত্তা রক্ষী অভিযোগ তোলেন, এই প্রথম নয়, এর আগেও মহারাজের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছেন অনেক পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষী । একাধিক নিরাপত্তার রক্ষীকে হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করেছেন ওই মহারাজ । তবে তিনি নবদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন ।
যদিও ওই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই পলাতক সেই মহারাজ । এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, এ বিষয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘আমি প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছি না । কোনও কিছু জানার থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’





Made in India