বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেউলিয়া আগেই হয়েছিলেন, এবার ভেনিসের রাস্তায় মাথায় হাত দিয়েই বসে পড়লেন শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে ভাল রকমই পকেট খসেছে অভিনেত্রীর। এতদিন দিব্যি অজানা দেশ ঘোরার আনন্দে ছিলেন তিনি। ফেরার জন্য করোনা পরীক্ষা গিয়েই চমকে উঠলেন শ্রীলেখা!
ভেনিসে করোনার আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য তাঁকে দিতে হয়েছে ১১২ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১০ হাজার টাকা! করোনা পরীক্ষা জন্য এমন ধাক্কা খেয়ে কার্যতই মাথায় হাত শ্রীলেখার। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘আরটিপিসিআর টেস্ট ১১২ ইউরো অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা!!! মাথায় হাত ভেনিস (না ফেরত) অভিনেত্রীর’। এমন অবস্থাতেও মজা করার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি।

বিদেশে গিয়ে একের পর পর এক জিনিসে পয়সা খসছে শ্রীলেখার। এর আগে ৬০ ইউরো অর্থাৎ ভারতঘয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রাইভেট বোট ট্যাক্সি ভাড়া করে লিডো থেকে ভেনিস গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। খরচের বহর দেখে তখনি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষনা করেছিলেন তিনি।
এখানেই শেষ না। ভেনিসের রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে ‘কালনাগিনী’ মাছের ছোবলও খেতে হয়েছে শ্রীলেখাকে। শহরের সৌন্দর্য দেখে রাতের খানাপিনা সারতে এক রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মেরেছিলেন শ্রীলেখা। সেখানেই তাঁর চোখ আটকায় এক সুপুরুষ ওয়েটারের দিকে। আর কে না জানে শ্রীলেখা সৌন্দর্যের পূজারিণী। সঙ্গে সঙ্গে তলব সেই ওয়েটারকে। তাঁর কথা মতোই অর্ডার করে ফেলেন এক মাছের ডিশ। দামের কথা জিজ্ঞাসাও করেননি। তার ফল অবশ্য কিছুক্ষণ বাদেই উপলব্ধি করেন অভিনেত্রী।

খাবার খেতে তো দারুন সুস্বাদু ছিল। কিন্তু বিল হাতে পেতেই বিষম খেলেন শ্রীলেখা। খাবারের বিল হয়েছে ৬৭.২০ ইউরো, ভারতীয় মুদ্রায় যা পাঁচ হাজারেরও বেশি। হ্যান্ডসাম পুরুষ দেখে ক্ষণকাল না ভুলে দামটা জিজ্ঞাসা করে নিলেই আর এ ভুল হত না। কিন্তু এখন আর মাথা চাপড়ে কী হবে! যা হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে।
দীর্ঘ ২১ বছর পর আদিত্যবিক্রম সেনগুপ্তের ছবি ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন কলকাতা’ মনোনীত হয়েছে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে। এই ছবিতেই অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। সেই সূত্রেই পাড়ি ভেনিসে।





Made in India