বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল (SSC Recruitment Scam) করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে একধাক্কায় চাকরি গিয়েছে ২৬০০০ জনের। এত সংখ্যক চাকরি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়নি।’ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গুচ্ছ-গুচ্ছ প্রশ্ন ওঠে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হতে চাইছে কমিশন (School Service Commission)।
SSC কাণ্ডে নয়া মোড়! SSC Recruitment Scam
বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যারা দোষী নন, তারা নতুন করে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের চাকরি গিয়েছে, তারা ফের পরীক্ষায় বসতে পারবে। বয়স সীমায় ছাড় দেওয়া হবে তাদের। এই নিয়েই দ্রুত চাকরিহারাদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে SSC।
সূত্রের খবর, যোগ্যদের সুরাহা করতে খুব শীঘ্রই আদালতে দ্বারস্থ হতে পারে SSC। আরও জানা গিয়েছে, এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষা ইন্টারভিউ সমস্ত কিছুই থাকবে। ‘যোগ্য’দের নিজেদের যোগ্যতা পুনরায় প্রমাণের সুযোগ থাকবে। কিন্তু কারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন? সেই বিষয় এসএসসির কাছে স্পষ্ট নয়। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা। প্রয়োজনে ফের তারা শীর্ষ আদালতে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, যে সমস্ত চাকুরিজীবীরা নিজেদের পূর্বতন চাকরি ছেড়ে এই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা নিজেদের পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের পূর্বতন কাজে ফেরত পাঠাতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এজ রিল্যাকসেশন দেওয়া হবে যারা ট্রেইনড নয় তাদের জন্য এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য৷ যারা বৈধ, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ মেলেনি এতদিন চাকরি করেছেন এবং বেতন পেয়েছেন তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে না।

আরও পড়ুন: ‘যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব’, ‘সাড়ে ৫,৬ হাজার..,’ মমতাকে চ্যালেঞ্জ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর যে শূন্যপদগুলি তৈরি হল সেগুলিতে আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এই তিন মাসের মধ্যে যারা বৈধ, তারা যে বিভাগে কাজ করতেন, সেখানে তারা চাকরি করে যাবেন। এই তিন মাস ধরে তারা বেতনও পাবেন। পাশাপাশি ওই বছর পশ্চিমবঙ্গের যে সকল প্রতিবন্ধীরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।





Made in India