বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১২ সালে দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসের ভেতর ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল দিল্লির তরুণী নির্ভয়া। সেই থেকে এতগুলো বছর পার হয়েছে নির্ভয়ার দোষীদের শাস্তির প্রক্রিয়া করতে। ফাসির সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও অভিযুক্তরা বারবার প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পিছিয়ে দিচ্ছিল ফাঁসির তারিখ।
শেষ পর্যন্ত গতকাল নির্ভয়ার চার দোষীদের শাস্তির তারিখ ঠিক করা হয়। গতকাল দিল্লি কোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, ফাঁসি হতে আর কোনোও আইনি জটিলতা নেই। তাই আজ নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হবেই। তবে সাধারন মানুষের মনে এই নিয়ে কিছুটা হলেও কৌতুহল ছিল বৈকি।

বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, ফের পিছিয়ে গেল নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির তারিখ। সোমবার দিল্লি কোর্ট নির্ভয়া কাণ্ডের চার অপরাধীর ফাঁসির রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল। গতকাল সকালে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট চার অভিযুক্তের ফাঁসির আর্জি খারিজ করে। তাই ফাঁসি হতে আর কোনও বাধা ছিল না তবে এই নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল কারণ, দোষী পবন গুপ্ত রায়ের সংশোধনের আর্জি ফিরিয়েছে শীর্ষ আদালত তারপরেই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার আর্জি জানায় সে। আইন মোতাবেক, রাষ্ট্রপতি ফেরালে সে রায়কেও চ্যালেঞ্জ করতে পারবে পবন। নির্ভয়া কাণ্ডের বাকি দুই অভিযুক্ত সব সুযোগের ব্যবহার করে ফেলেছিলেন তবে পবনের হাতে এখনও রাস্তা খোলা ছিল। এরফলে অভিযুক্তের আইনজীবীকে শীর্ষ আদালতের কাছে মুখ ঝামটাও শুনতে হয়।
আসলে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে কোনও আইনি পথই ছাড়তে চায় না এদের মতন মানুষরূপী পশুরা। আইনের ফাঁকফোকর এর কারণে বারংবার শাস্তি পিছিয়ে যাচ্ছে দোষীদের। তবে এই নিয়ে রোশে ফুঁসছে সাধারন মানুষ। “তবে কিছুতেই কি সুবিচার পাবে না কোনও নির্যাতিতা? ” এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মুখে মুখে।





Made in India