বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অত্যন্ত প্রাচীন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। বিদেশের মাটিতেও এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভরসা করেন। ভেষজ এই চিকিৎসা পদ্ধতি দেশ-বিদেশ সব জায়গাতেই সমাদৃত। কিন্তু কলকাতার এক ডাক্তারবাবুর ১০০ বছর আগে তৈরি এই ভেষজ কোম্পানি এক অনন্য জায়গা দখল করেছে।
১০০ বছর আগে যে কোম্পানির বীজ বপন করা হয়েছিল, তা আজ পরিণত হয়েছে মহীরুহে। এই কোম্পানির নাম হল ডাবর (Dabur)। বাংলার বর্মন পরিবার ডাবর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। চিকিৎসক ও আয়ুর্বেদিক প্র্যাকটিসকারী ব্যক্তি এস কে বর্মন ১৮৮৪ সালে শুরু করেন ডাবর। ১৪০ বছরের পুরনো এই কোম্পানি আজ দেশের অন্যতম একটি বিশ্বাসের নাম।
আরোও পড়ুন : Jio’র নয়া ধামাকা! দিতে হবে না এক টাকাও; এক মাস ধরে চলবে ফ্রি কলিং, সঙ্গে ডেটাও
ডাক্তার বর্মন প্রান্তিক ও গরিব মানুষদের জন্য শুরু করেন এই কোম্পানি। তার প্রধান লক্ষ্যই ছিল অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে কলেরা, আন্ত্রিক, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা। ডাবর প্রথমদিকে কলকাতার একটি সাধারণ আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা হিসেবেই পরিচিত ছিল।
আরোও পড়ুন : বকেয়া ৪০টি ট্রাফিক কেস, রাস্তায় ধরে যা করল পুলিশ! চালান দিতে দিতেই কাটবে জীবন
এই সংস্থা আয়ুর্বেদিক রীতিনীতি মেনে ওষুধ প্রস্তুত করত। দ্রুত এই কোম্পানি সারাদেশে সুখ্যাতি অর্জন করে। পরবর্তীকালে ডাবর কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে আনে। মধু, টুথপেস্ট, ত্বক পরিচর্যার জিনিস ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে গোটা দেশে। ডা: আনন্দ বর্মন বর্তমানে ডাবর গ্রুপের চেয়ারম্যান।

তিনি আসার পর এই কোম্পানি এক নতুন দিগন্ত খুঁজে পায়। যে সময় তিনি ডাবরে যোগ দেন সেই সময় ডাবরের বার্ষিক আয় ছিল কুড়ি কোটি টাকা। ১৯৯০ এর সময় সেই আয় গিয়ে দাঁড়ায় ১২০ কোটিতে। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের ১৭ তম ধনী পরিবার ছিল এই বর্মন পরিবার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট বলছে, জুন ত্রৈমাসিকে কোম্পানির নিট প্রফিট ৫ শতাংশ বেড়ে ৪৬৪ কোটি টাকা হয়েছে। কলকাতায় ছোট্ট একটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শুরু হয় ডাবরের পথচলা। তারপর ধীরে ধীরে এই ভেষজ কোম্পানি পরিণত হয়েছে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। গোটা দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে কলকাতার ডাবর।





Made in India