বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে সেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। দেশজুড়ে যখন চলছে গণতন্ত্রের উৎসব সেই সময় সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার বিপুল অস্ত্রভান্ডার (Explosion) বন্দুক, গুলি, বোমা থেকে বিস্ফোরক! বোমা সরাতে নামাতে হল এনএসজি। রোবট নামিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হল বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ। CBI-NSG-র যৌথ অভিযানে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রভান্ডার। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা একেবারে তুঙ্গে।
সন্দেশখালির গোটা ঘটনাকে নাটকের আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বলেন, “নাটকীয়তা তৈরি করার জন্য, ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য এনএসজি নামানো হচ্ছে। সন্দেশখালি ইস্যুকে অক্সিজেন জোগানোর চেষ্টা। অস্ত্র কারা রেখে গেল সেটা দেখতে হবে। কারা নাটক করতে চায় সেটাও দেখতে হবে। পুলিশের ইন্টালিজেন্স কী করছিল সেটাও আলোচনার বিষয়।”
এদিকে কুণালের পাল্টা দিয়েছে পদ্ম শিবিরও। এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমি আর শুভেন্দু অধিকারী পিঠে বোঝা নিয়ে গিয়েছিলাম। আগে থেকেই গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল দিলীপ ঘোষ। রাহুল সিনহা টর্চটা ধরেছিল। আমি আর শুভেন্দু একটা একটা করে অস্ত্র রেখেছিলাম ওখানে। আর পাশ এসব লুকিয়ে দেখেছিল কুণাল ঘোষ।”
সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘যেসমস্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা বিদেশি, জঙ্গি সংগঠন সিমির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও তফাত নেই। এই ঘটনায় তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।’ সেইসঙ্গে গোটা ঘটনায় পুলিশেরও ভূমিকা রয়েছে বলে সাফ দাবি করেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন: সবে মিলেছে কণ্ঠস্বর! এরই মাঝে কালীঘাটের কাকুর জামিন? রাজ্যের কাছে SSKM-র রিপোর্ট তলব
বিজেপির পাশাপাশি সরব হয়েছে সিপিএমও। বামেদের কথায়, “এ রাজ্যের আর মান-সম্মান থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়েছে। লুঠের কোটি কোটি টাকা। শুধু সন্দেশখালি নয়, আরও অনেক জায়গাতে এই অবস্থা করেছে। সন্দেশখালিতে শুধু নজরে এসেছে।”





Made in India