বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলায় মোটেই আশানুরূপ ফল করতে পারেনি BJP। উনিশের নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল পদ্ম শিবির। এবার মাত্র ১২ আসনেই আটকে গিয়েছে তারা। এর মাঝেই দিল্লিতে ডাক পড়ল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। না বকুনির জন্য না, বরং মোদী ৩.০ সরকারের মন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের ‘ভরাডুবি’র পর শাস্তি হিসেবে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Minister) করা হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনে। সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি নিজে।
আজ দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) চা-চক্রে যোগ দিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। আজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী শপথ নেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁরও শপথ নেওয়ার কথা আছে। এই মন্ত্রীত্ব কি পুরস্কার নাকি শাস্তি? সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে এই প্রশ্ন করা হয় সুকান্তকে। সোজাসাপটা জবাব দেন BJP নেতা।
আরও পড়ুনঃ ভোটে হারলেও দিল্লি ছুটলেন অর্জুন! বিরাট কিছু ঘটবে আজ? তোলপাড় রাজ্য!
রাজ্য সভাপতি নাকি কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী, সুকান্তর ব্যক্তিগত পছন্দ কোনটা? জবাবে BJP সাংসদ বলেন, এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কোনও জায়গা নেই। চেয়ার কখনও স্থায়ী নয়, বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কোন বিভাগ পছন্দ? এই প্রশ্নের জবাবেও খানিকটা একই সুর শোনা যায় সুকান্তর গলায়। তিনি বলেন, এখানে পছন্দ-অপছন্দের কোনও স্থান নেই। দলের আদর্শের সঙ্গে, দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। দল যা বলবে, সেটাই মেনে চলব, বলেন তিনি।
এরপরেই সুকান্তকে জিজ্ঞেস করা হয়, এই মন্ত্রীত্ব পুরস্কার নাকি শাস্তি? উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুরস্কার কিংবা শাস্তি, কোনোটারই গুরুত্ব নেই। নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হয়েছে। পরম বৈভবশালী ভারত তৈরির যে লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি, সেটা এ জীবনে পূর্ণ হওয়ার কথাই না। সেই কারণে পুরস্কার অথবা তিরস্কার বলে কিছু নেই’।

২০২৬ বিধানসভা ভোটে কী ভূমিকা পালন করবেন? পশ্চিমবঙ্গকে কি আগের মতোই গুরুত্ব দেবেন সুকান্ত? জবাবে হবু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই রাজ্য প্রাধান্য পাবে। আমার পিছনে দল বিনিয়োগ করেছে। সাংসদ ছিলাম। ৩ বছর রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছি। স্বাভাবিকভাবে যে পরিচিতিটা তৈরি হয়েছে, যে জনসমর্থন তৈরি হয়েছে, সেটাকে বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না’।





Made in India