বাংলা হান্ট ডেস্ক : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার এই সমাজের এক বিরাট অঙ্গ। দূষিত পরিবেশকে করে বায়ু বা জল নয় নানান প্রক্রিয়ায় পরিবেশ দূষিত হতে পারে। কিন্তু এই দূষণের মাত্রা যখন অত্যাধিক হয়ে যায় তখন তার স্থান হয় দিল্লি। একটু মজা করে বললে বিষয়টা সত্যি হয়ে গেছে। এখন ভারতের পক্ষে দিল্লি মানে দূষণের শহর। দূষণের শহরে নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বিজ্ঞানীমহল। সরকারের ওপর চাপ কম নয় দূষণের প্রতিরোধ করার ব্যাপারে।
এই পরিস্থিতিতে দূষণ দূর করার সহজ উপয়ায় বলে দিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী সুনীল ভারালা। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘নাড়া পোড়ানোর ফলে দূষণ হচ্ছে। অথচ বহু বছর ধরে চাষিরা এভাবেই নাড়া পুড়িয়ে আসছেন। এটাই প্রথা। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। তার পরিবর্তে সরকারের উচিত ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করার জন্য যজ্ঞ করা। তিনিই সব কিছু ঠিক করে দেবেন।’’
একদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিলীপ ঘোষ এবার উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীর মুখে এমন ও মাত্রাতিরিক্ত দূষণ রোধের উপায় জানতে পেরে সাধারণ মানুষ ভাবছে এইভাবে দূষণ রোধ করা যায়?
দিল্লি, গুরুগ্রাম এবং নয়ডার মানুষজনের অভিযোগ, বৃষ্টিতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। শ্বাস নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরো মারাত্মক। জ্বালা করছে চোখ। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় চাষিরা খড় পোড়ানো বন্ধ করেননি। সেই ধোঁয়া উড়ে আসছে দিল্লিতে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

তিনি এ নিয়েও বহুবার পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, যারা খড় পোড়াবে তাদের জরিমানা দিতে হবে। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। তবে তাতে খড় পোড়ানো বন্ধ হয়নি। বরং তাকে সমর্থন করছেন সুনীল ভারালার মতো কিছু রাজনীতিবিদ। তাঁর স্পষ্ট কথা, ইন্দ্রদেবের যজ্ঞ করলেই দূর হয়ে যাবে দূষণ।





Made in India