বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সকালবেলা ঘুম থেকে চোখ খুলেই যে জিনিসটা প্রায় সকলের হাতে প্রথম ওঠে তা হল মোবাইল। আর হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp Ban case) যেন এখন সকলের জীবনে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয়’। সেই হোয়াট্সঅ্যাপই নিষিদ্ধি করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন কেরালার বাসিন্দা ওমানাকুট্টান কেজি নামক এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলা উঠলে খারিজ হয়ে যায়।
হোয়াট্সঅ্যাপ বন্ধের আবেদন জানিয়ে মামলাকারীর দাবি ছিল, ওই অ্যাপের মাধ্যমে যে বার্তার আদানপ্রদান হয়, তা গোপনীয়তা, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা প্রদান করতে ব্যর্থ। মামলাকারী আদালতে আরও জানান, ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্ত আইন বা নীতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এই ইসুতেই সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করা হয়।
মামলাকারীর আবেদন ছিল যাতে হোয়াট্সঅ্যাপ বন্ধের জন্য সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দেয়। আদালতে তিনি বলেন, হোয়াট্সঅ্যাপ এমন একটি অ্যাপ যা অ্যানড্রয়েড মোবাইলের মিডিয়া ফাইলগুলি ইউজারের অনুমোদন ছাড়াই বদলে দেয়। তিনি যুক্তি দেন, হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি। সাধারণ মানুষেরা অধিকারে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করেছে হোয়াট্সঅ্যাপ। যা পরে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বদলে গেল সরকারি কর্মীদের পেনশনের নিয়ম? ঠকে যাওয়ার আগেই জানুন
বৃহস্পতিবার এই মামলাটি উঠেছিল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চে। সেখানেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এর আগে এই একই দাবি নিয়ে কেরালা হাইকোর্টেও মামলা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানেও তার মামলা খারিজ হয়ে যায়। মামলাটিকে ‘প্রিম্যাচিওর’ বলেও পর্যবেক্ষণে জানায় উচ্চ আদালত।





Made in India