বাংলাহান্ট ডেস্ক: জীবন যে কখন কাকে কোন পথে নিয়ে যায়, কখন যে কে কি সিদ্ধান্ত নেয় তা বাইরে থেকে দেখে বোঝা খুবই কঠিন। এই কথাটাই ফের প্রমাণ করলেন সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput)। অভিনেতার সদা হাস্যমুখের পেছনে যে কতটা কষ্ট লোকানো ছিল তা বুঝতে পারেননি কেউই। ফলে অকালে চলে যেতে হল এক অসাধারন প্রতিভাকে।
ভাবুক প্রকৃতির ছিলেন মানুষ ছিলেন। মহাকাশ তাঁকে টানত। ইনস্টাগ্রামে তাঁর বহু মহাজাগতিক বিষয় নিয়ে পোস্টই এর সবথেকে বড় প্রমাণ। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতেন সুশান্ত। কখনও কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ কখনও নানান দার্শনিক বিষয় নিয়ে পোস্ট করতেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে তাঁর শেষ পোস্টটি ছিল মাকে নিয়ে। মায়ের একটি পুরনো ছবির সঙ্গে নিজের একটি ছবি জুড়ে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘চোখের জলে বাষ্পীভূত হচ্ছে আবছা অতীত, অফুরন্ত স্বপ্ন হাসির রেখা আঁকছে, আর জীবন এই দুইয়ের মাঝে দোলাচলে রয়েছে… মা’।
https://www.instagram.com/p/CA-S3cIDWOx/?igshid=cakgb38lnhui
২০০২ সালে প্রয়াত হন সুশান্তের মা। সেই স্মৃতি তাড়া করে বেড়াত তাঁকে। অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি। চলছিল চিকিৎসা। তাঁর ঘর থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উদ্ধার করেছে পুলিস। তাঁর শেষ কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে তেমন সফলতা পায়নি। তাঁর অভিনীত শেষ ওয়েব সিরিজ ড্রাইভ মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। সেই কারনে অবসাদে ভুগছিলেন সুশান্ত। তাঁর চিকিৎসা চলছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
https://www.instagram.com/p/BzkjuVoDwMf/?igshid=wl1vfpub8epf
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিনেতা। এদিন তাঁর বন্ধুরা তাঁর বাড়িতে এলে দরজা খোলেননি সুশান্ত। শেষে বন্ধুরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। মনে করা হচ্ছে, অবসাদের কারনেই এমন চরম পথ বেছে নিয়েছেন সুশান্ত। উল্লেখ্য, মাত্র কিছুদিন আগেই আত্মহত্যা করেছেন তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা।
আজ সকালে নিজের বান্দ্রার বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। বাড়ির পরিচারক প্রথম দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর।





Made in India