বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ববিতা সরকার (Babita Sarkar)! সেই লড়াকু চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে (High Court) মামলায় লড়ে যিনি মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে পদ থেকে সরিয়ে করে সেই চাকরি পেয়েছিলেন। কোচবিহারের (Coochbehar) মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ববিতা। এবার সেই ববিতা সরকারের আবেদনের বৈধতা নিয়েই উঠে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঠিক কী অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে? অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) কাছে আবেদন জমা দেওয়ার সময় অন্যায়ভাবে নিজের স্নাতকস্তরের নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ববিতা সরকার। এর দরুন অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীদের পেছনে ফেলে বাড়তি নম্বরের সুবিধায় র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন তিঁনি। আর তাতেই হাতে এসেছিল চাকরির নিয়োগপত্র।
আরও কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, SSC এর আবেদনের ফর্মে স্নাতক স্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন ববিতা সরকার। দেখানো হয়েছিল ৮০০ নম্বরের মধ্যে গ্র্যাজুয়েশনে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৪০। অন্যদিকে, SSC এর দাবি আবেদনকালে অন্যায়ভাবে ‘৬০ শতাংশ বা তার বেশি’ নম্বর পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ববিতা। যার ফলে অ্যাকাডেমিক স্কোর মোট ৩১–এর পরিবর্তে হয়েছে ৩৩। অর্থাৎ এর দরুন অন্য প্রার্থীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন তিঁনি।
প্রসঙ্গত, বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলতে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ এই ববিতা সরকার। উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বরখাস্ত করে সেই চাকরি ববিতা সরকারকে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি অঙ্কিতা অধিকারীকে ৪৩ মাসের বেতন–বাবদ কয়েক লক্ষ টাকাও ফেরতও দিতে হয় ববিতা সরকারকে।

এবার সেই ববিতার নথিতেই ভূল তথ্য দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। কেন সমস্ত নথি সম্পূর্ণরূপে যাচাই না করে তাঁকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি তথ্য যাচাই করা নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকাতেও আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে সকলে।





Made in India