বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার তদন্তে নেমে অক্টোবর মাসে বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই কর্তা পার্থ সেন ও কৌশিক মাজিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (Central Bureau Of Investigation)। শুক্রবার এই দুজনার জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল তদন্তকারী সংস্থা।

দায়ী এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি
ওএমআর শিট (OMR Sheet) প্রস্তুতকারক সংস্থা এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনও ভাবেই দায় এড়াতে পারে না। আদালতে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই উত্তরপত্র প্রস্তুতকারক ও মূল্যায়ন সংস্থার।
টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি
শুক্রবার পার্থ ও কৌশিকের বিরুদ্ধে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ খাড়া করেন সিবিআই আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওএমআর সিট মূল্যায়নের দায়িত্ব থাকলেও এই সংস্থার মাধ্যমেই টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের বাড়তি নম্বর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সুপরিকল্পিত ভাবে এই কারচুপি চলেছে। আর এই দুর্নীতিতে কৌশিক মাঝি, পার্থ সেনের মতো সংস্থার অংশীদারেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
আরও পড়ুন: চলবে বিশ্বকাপ ফাইনাল! ওদিকে ফিরহাদকে নিয়ে মমতা যাবেন ‘বিশেষ’ কর্মসূচীতে, কোথায় জানেন?
তৈরী হয়েছিল ভুয়ো ওয়েবসাইট
এদিন সওয়াল জবাবে সিবিআইয়ের দাবি, ৭০০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর তালিকার আদানপ্রদান করতে দুটি মেল আইডি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পূর্বে আদালতে চার্জশিট দিয়ে সিবিআই জানায়, ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে, দুটো মেল আইডি ব্যবহার করে চলেছিল কারচুপি। এই মেল আইডি গুলির মাধ্যমে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছিল। আর সেই তালিকা মাফিকই মূল্যায়নে কারচুপি করা হয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন: দু-দিনেই দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলার তাপমাত্রা পৌঁছবে ১৮ ডিগ্রিতে! ভয়ঙ্কর আপডেট দিল IMD

কারচুপিতে যুক্ত মুম্বইয়ের এক সংস্থাও
আদালতে সিবিআই জানায় এই ৭০০ জনের তালিকা থেকে ৩০০ এর বেশি অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। অন্যদিকে মুম্বইয়ের এক সংস্থাও এই কারচুপিতে যুক্ত বলে জানিয়েছে সিবিআই। সম্প্রতি সেই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু প্রচুর নথি নামের তালিকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। এবার পরবর্তীতে এই দুর্নীতির তদন্তে আর কী কী উঠে আসে সেটাই দেখার।





Made in India