বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মুর শ্রী বৈষ্ণদেবী মন্দির (Vaishno Devi Temple), ভারতের ১০ টি ধনী মন্দিরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে এই মন্দির। জমি থেকে ৫২০০ ফুট উঁচুতে লক্ষ বছর আগে গুহার মধ্যে নির্মিত এই মন্দিরে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দান আসে। বহু পৌরাণিক ইতিহাসের সাক্ষী এই মন্দির। প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে।
এই মন্দিরের দান ভান্ডারের ২০ বছরের সমীক্ষা করে জানা গিয়েছে, গত ২০ বছরে ভক্তরা প্রায় ১৮০০ কেজি সোনা, ৪৭০০ কিলো রূপো, ২০০০ কোটি টাকা নগদ দান করেছে মন্দিরে। তবে এই করোনা আবহে কিছুদিন ভক্ত সংখ্যা কম থাকার পর আবারও ধীরে ধীরে ভক্তের সমাগম হতে শুরু করেছে এই মন্দিরে।

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানিয়েছে, এই মন্দিরে প্রতি বছর ভক্তরা প্রায় ৯০ কিলো সোনা এবং প্রায় ২০০ কিলো রূপো দান করে থাকেন। সেই হিসাবে দেখতে গেলে গত ২০ বছরে প্রায় ১৮০০ কেজি সোনা, ৪৭০০ কিলো রূপো জমা পড়েছে মন্দিরের দান ভাণ্ডারে।
এই মন্দির নিয়ে আজও ভক্তদের মধ্যে অনেক অজানা রহস্য রয়েই গেছে। কিভাবে বৈষ্ণদেবী ওই গুহার মধ্যে থাকতেন? কিভাবেই বা গুহাটি তৈরি হয়েছিল? আরও নানা প্রশ্ন। তবে সকল প্রশ্নের উর্দ্ধে গিয়ে বলা হয়, ওই মন্দিরের মধ্যে একটা পজেটিভ এনার্জি রয়েছে এবং এই মন্দিরই হল বিশ্বে সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান।

এই মন্দিরের যাত্রা পথ খুবই দুর্গম। তাই একবার এই মন্দিরে যে যায়, দ্বিতীয় বার আর সে যেতে চায় না। ‘চল বুলায়া আয়া হে, মাতা নে বুলায়া হে’, এই মন্দিরে পূজা দিতে গেলে সকলের মুখেই এই কথাটি শোনা যায়। তবে এবার এই মন্দিরে পৌঁছাবার জন্য নানা পথের পরিষেবা বৃদ্ধি শুরু করেছে ভারত সরকার।





Made in India