বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমশ দাম বৃদ্ধির ফলে পকেটে টান পড়েছে মধ্যবিত্তদের। এমনকি, এর ফলে দাম বেড়ে গিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও। যে কারণে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। যদিও, এই আবহে অনেকেই খরচ সামলাতে ইলেকট্রিক বাইকের দিকে ঝুঁকলেও এবার অদ্ভুত এক বিষয় সামনে এসেছে। আর যা শুনে কার্যত অবাক সকলেই।
মধ্যপ্রদেশের সাগরের এক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই তাঁর বাইককে এক অভিনব ভাবে পরিবর্তিত করে ফেলেছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর বাইকের পেছনের চাকাটি পেট্রোলে চললেও সামনের চাকটি চলে ব্যাটারির সাহায্যে। আর এভাবেই অবিশ্বাস্য এক বাইক তৈরি করে চমকে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, এই বাইক তৈরি করতে তাঁর ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
মূলত, সুমিত বিশ্বকর্মা নামের ওই ব্যক্তি একটি ওয়েল্ডিংয়ের কারখানা চালান। পাশাপাশি, প্রথম থেকেই নিত্য-নতুন জিনিস উদ্ভাবন করতে থাকেন তিনি। আর এভাবেই তিনি এবার এই অদ্ভুত বাইক প্রকাশ্যে এনে ওই এলাকায় রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন।
নিজেই এই বাইকটির ডিজাইন করেছেন তিনি। এই বাইকে পেছনের চাকাটি পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হলেও সামনের চাকাটি এক্সিলারেটরের সুইচে রাখা একটি মোটর দ্বারা চালিত হয়। পাশাপাশি, ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে এটি পেট্রোলে চলে এবং পেট্রোল ফুরিয়ে গেলে এই বাইক ব্যাটারিতেও চলতে শুরু করে। এদিকে, এই পুরো পদ্ধতিটি সঠিক ভাবে করে তুলতে সুমিতের খরচ হয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
এই প্রসঙ্গে সুমিত জানান, “আমি খরচের কথা ভেবে ইলেকট্রিক বাইক নিলে এই বাইকটা নষ্ট হয়ে যেত। এছাড়াও পেট্রোলের দামের কারণে আমরা এখন বাইক ব্যবহার করতে পারছি না। আবার, নতুন একটি ইলেকট্রিক বাইক নিতে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাই, আমি এই বাইকটাকেই অভিনব করে তুলেছি। এখন আড়াই ঘণ্টা চার্জ দিলেই বাইকটি প্রতি ঘন্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
তৈরি করতে সময় লেগেছে এক মাস:
সুমিত জানিয়েছেন যে, তিনি এক মাসেই তাঁর বাইকটিতে ইলেকট্রিক মোড সিস্টেম ইনস্টল করেছেন। এছাড়াও, অনলাইন মারফত কিছু পণ্য অর্ডার করতে হয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি, বাইকটিতে একটি ৭২ ভোল্টের ব্যাটারি রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বাইকটি তিন কুইন্টাল পর্যন্ত ওজন নিয়েও খুব সহজেই চালানো সম্ভব। পাশাপাশি, বাইকটিতে ডিকির মতো ব্যাটারি লাগিয়ে সুন্দর রূপ দিয়েছেন সুমিত।

লাগবেনা আগুনও:
সম্প্রতি ইলেকট্রিক স্কুটিগুলিতে প্রায়ই আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানিও ঘটছে। এমতাবস্থায়, সুমিত এটি প্রতিরোধ করার জন্য, ব্যাটারি লাগানো টিনের বাক্সে বাইরের তাপ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ইনসুলেটর ব্যবহার করেছেন। মূলত, টিনের ঘরের ছাদে তাপ এড়াতে এই ইনসুলেটর ব্যবহার করা হয়। যার ফলে তাঁর এই বাইকে আগুন লাগারও কোনো ভয় নেই।





Made in India