বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের কাছে যাত্রার সবথেকে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। অল্প খরচে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে রেলের জুড়ি মেলা ভার। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রেল ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে ভারতে। ব্রিটিশ আমলে যে রেল ব্যবস্থার পত্তন হয়েছিল, তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি কোণায়।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল প্রতিনিয়ত নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। রেলের তরফ থেকে এবার বাংলার খড়গপুর স্টেশনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খড়গপুর স্টেশন পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর মহকুমায় অবস্থিত। ১,০৭২.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই স্টেশনে রয়েছে ১২ টি প্লাটফর্ম।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনকে নিয়ে রেল দপ্তর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। এই স্টেশনের উপর দিয়ে দূরপাল্লার বহু ট্রেন চলাচল করে। বাংলা তথা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিখ্যাত এই স্টেশনের এবার ভোল বদল হতে চলেছে। অমৃত ভারত যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খড়গপুর স্টেশনকে। এই যোজনার অধীনে খড়গপুর স্টেশনকে আধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে।
নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছেন। এই ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেন রেলের টেকনিশিয়ান-ইঞ্জিনিয়ার সহ অনেকেই। খড়গপুর স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেম আরো উন্নত করার জন্য রেলমন্ত্রী কথা বলেছেন রেল দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে।
প্রসঙ্গত অমৃত ভারত যোজনার আওতায় গোটা দেশে এক হাজারটি ছোট স্টেশন নির্মাণ করা হবে। ১২৭৫ টি রেল স্টেশনের পরিকাঠামো আরো উন্নত করা হবে এই যোজনার আওতায়। সম্প্রতি রেলের পক্ষ থেকে স্টেশনগুলির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নামের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। দীর্ঘমেয়াদি এই মাস্টার প্ল্যানে পশ্চিমবঙ্গের বহু রেলস্টেশন নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।

বর্ধমান, রামপুরহাট, বোলপুর, নবদ্বীপ ধাম, খাগড়াঘাট, কাটোয়া, তারকেশ্বর, শেওড়াফুলি, বালি, আজিমগঞ্জ, ডানকুনি, সাঁইথিয়া, চন্দননগর, অম্বিকা কালনা, শিয়ালদহ, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, শান্তিপুর, ক্যানিং, চাঁদপাড়া, সোনারপুর, বহরমপুর কোর্ট, বেথুয়াডহরি, বনগাঁ, কল্যাণী ঘোষপাড়ার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রয়েছে এই তালিকায়।





Made in India