বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। কখন কার সাথে কীভাবে যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে তা কেউ বলতে পারে না। এবার এমন একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুর গ্রাম। প্রেমের টানে এই গ্রামের তিন ছাত্রী ঘর ছেড়েছেন। তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন তাদের এলাকার তিনজন রাজমিস্ত্রির সাথে।
এই তিনজন নাবালিকাই দশম শ্রেণীর ছাত্রী। যদিও তৎপরতার সাথে পুলিশ ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করতে পেরেছে এই তিন ছাত্রীকে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে দুই রাজমিস্ত্রিকে। একজন রাজমিস্ত্রি পলাতক। নিমেষে এই ঘটনা প্রচার হয়ে যায় আশেপাশের গ্রামে। ওই গ্রামে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের সন্ধান শুরু করে পুলিশ।
আরোও পড়ুন : রাজ্যে শুরু হল ৩৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া, তোরজোড় শুরু সরকারের
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনজন যুবক ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর গ্রামের দশম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রওনা দেন হাওড়া স্টেশনের উদ্দেশ্যে। হাওড়া স্টেশন থেকে তাদের গন্তব্য ছিল মুম্বাই। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় ওই ছাত্রীদের পরিবার তল্লাশি শুরু করে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
আরোও পড়ুন : আর লিখতে হবে না পরিবারের প্রধানের নাম! এবার রেশন কার্ড নিয়ে বড়সড় ঘোষণা সরকারের
খোঁজ করতে করতে পুলিশ জানতে পারে কাজে আসা ১১জন রাজমিস্ত্রির মধ্যে ৩জন উধাও। অপহরণের মামলা রুজু করে গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ। প্রথমে তিন রাজমিস্ত্রির ফোন বন্ধ থাকায় তাদের লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাদের মধ্যে একজন মোবাইল ফোন অন করলে পুলিশ তাদের লোকেশন জানতে পারে।

এরপর লোকেশন ট্র্যাক করে ওই তিন ছাত্রী ও দুজন রাজমিস্ত্রিকে আটক করে পুলিশ। ধৃত শেখ নাজিমুদ্দিন ও শেখ শরিফুল বিবাহিত ও পলাতক শেখ আরিফুল অবিবাহিত। ২৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বয়স এই তিন রাজমিস্ত্রির। এই তিনজন ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই রাজমিস্ত্রিরা তাদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল।





Made in India