বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নেত্রী হিসেবে পরিচিতি আদায় করে নিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। একুশের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিলেন TMC। সেবার পরাজিত হলেও বাঁকুড়ার মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন তিনি। এবার অবশ্য ‘যুদ্ধক্ষেত্র’টা আলাদা। বাঁকুড়া নয়, বরং বরানগরের (Baranagar) বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। রাত পোহালেই ফলঘোষণা। তার আগে কী বলছেন সায়ন্তিকা?
সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে TMC প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভোটের রেজাল্ট বেরনোর ২৪ ঘণ্টা আগে কীভাবে দিন কাটছে তাঁর? ফলঘোষণার পরেও বা কী করবেন তিনি? সবটা জানান সায়ন্তিকা।
ভোটের জন্য গত ৩ মাস ধরে বাড়িছাড়া TMC প্রার্থী। বরানগরেই বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন। রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কোমর বেঁধে প্রচার করেছেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে টাকা তিনবার এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাপস রায়। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে TMC ছেড়ে BJP-তে যোগ দিয়েছেন তিনি। বরানগরকে রীতিমতো হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। স্বভাবতই যুদ্ধের সকল ‘নকশা’ এবার পদ্ম প্রার্থী সজল ঘোষের হাতে তুলে দিয়েছেন আশা করা যায়। সেদিক থেকে কি চাপ বাড়বে সায়ন্তিকার?
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে বিরাট পদক্ষেপ কমিশনের! গণনার আগের দিন রাজীব কুমার বললেন…
TMC প্রার্থী বলেন, ‘আমি কোনও প্রতিপক্ষকেই ছোট করে দেখছি না। আসলে বরানগর তো TMC-র শক্ত ঘাঁটি। অতীতে এখানে আমাদের দলের যা রেকর্ড ছিল, সেটার থেকে ভালো করতে হবে’। উল্লেখ্য, ১ জুন বরানগরে উপনির্বাচন হয়েছে। ভোট মেটার তিনদিনের মাথায় ফল ঘোষণা। রেজাল্টের দিনই আবার বাড়ি ফিরছেন সায়ন্তিকা। বিজয়ী হয়ে ফিরতে পারবেন?

উত্তরে TMC নেত্রী বলেন, ‘সবটাই জগন্নাথের ভরসায়। তবে আমি নেতিবাচক কোনও কথা শুনতে রাজি নই, আমি শুনব না। আমি মনে করি, আমি রাজনীতিতে শিক্ষানবিশ। তবে কাজটা মন প্রাণ দিয়ে করতে চাই। আর এটাই করতে চাই। সেই জন্য কোনও ক্লান্তি অনুভব করছি না। শুধু এটুকু জানি যে কাল ফলঘোষণার পর ঘুমোব’।





Made in India