বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে জেরবার রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকা প্রকাশ হতেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। ভুয়ো প্রার্থীর তালিকা থেকে একের পর এক উঠে আসছে রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠদের নাম। এবার ফের একবার সেই একই চিত্র ধরা পড়ল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)।
পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে বা অন্য কোনও অনিয়ম করে শিক্ষক বা গ্রুপ ডি-তে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি তাঁদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে পর্ষদ। জানা গিয়েছে, সেই গ্রুপ ডি ভুয়ো চাকরি প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতার (TMC Leader) স্ত্রীর। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় জলপাইগুড়ি। ভুয়ো তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজয় শাহ-র স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘোষের নাম। বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা জলপাইগুড়ির সারিয়াম যশোধরা হাইস্কুলে চাকুরীরত।
এই ঘটনা চাওর হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল সম্পাদক। অজয়ের দাবি,’আমাদের বিয়ে হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। এবং স্ত্রী চাকরি পেয়েছেন ২০১৮ সালে। তাই রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য বিরোধীরা আমার নাম জড়াচ্ছেন। আমার স্ত্রী বৈধ্যভাবে চাকরি পেয়েছেন। অনেকে যারা সাদা খাতা বা দুই একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তারা বেশীরভাগ ৪৩ নম্বর পেয়েছে। আমার স্ত্রীও যেহেতু ৪৩ নম্বর পেয়েছে লিখিত পরীক্ষায় সেজন্য সিবিআই ভাবছে ৪৩ নম্বর পাওয়া মানে ভুয়ো। আমরা বরাবর বলে আসছি সিবিআই পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করছে।’
এদিন রোজকার মত স্কুলে যান প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই তাঁকে ভুয়ো তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিঁনি জানান, “সাদা খাতা আমি জমা দিইনি। মোট ৪৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। বিচারাধীন মামলা বলে কিছু বলছি না। তবে প্রয়োজনে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাব”।

অন্যদিকে ভুয়ো তালিকার এই ঘটনায় শাসকদলকে বিধঁতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করেনি গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সম্পাদককে একহাত নিয়ে জেলা বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ বলেন, “সবেমাত্র কয়েকজন তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যের নাম উঠে এসেছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে তৃণমূল নেতাদের মুখোশ খুলে যাবে।”





Made in India