বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেফাঁস মন্তব্য করে একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন ভরতপুরের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্যের পাল্টা ‘ঠুসে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গেই আরও বেশ কিছু মন্তব্য করেন যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। এই নিয়ে আগেই হুমায়ুনকে শোকজ করা হয়েছিল। এরপর তাঁকে বিধানসভায় তলব করে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি?
ভরতপুরের বিধায়ককে তৃণমূলের (TMC) শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফ থেকে তলব করা হতেই দেখা দেয় বেশ কিছু প্রশ্ন। তাহলে কি এবার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? অনেকের মনেই উঁকি দেয় এই জল্পনা। অবশেষে মিলল সেই উত্তর। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এবারের মতো সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এদিকে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নিয়ে মুখ খোলেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আমায় কী বলা হল সেটা জানতে শোভনদেববাবুকে জিজ্ঞেস করুন, জবাব পেয়ে যাবেন’।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ভর্তি পার্থ-সুজয়কৃষ্ণ! হঠাৎ কী হল? নিয়োগ দুর্নীতির কুন্তল-অরুণকে নিয়েও বড় খবর
তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ’১১ তারিখে বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত ১২ তারিখ আমি যে মন্তব্য করেছিলাম, সেটা বৈদ্যুতিন কিছু চ্যানেল ১৩ তারিখ থেকে দেখিয়ে এসেছে। ওই ব্যাপারটা ক্লোজ। আমায় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফ থেকে ডাকা হয়েছে। অনেক আলোচনা হয়েছে। ওনারা আমায় কিছু উপদেশ দিয়েছেন। আমিও ওনাদের কাছে কিছু আবেদন করেছি। ওনারা আমায় কথা দিয়েছেন, আমার কথা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। আমিও কথা দিয়েছি, আগামী দিনে দলের শৃঙ্খলার বিষয়ে আমি খুব সতর্ক থাকব’।

সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে হুমায়ুনকে সতর্ক করা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনও কথা বলা যাবে না। যদি অভিযোগ থাকে তাহলে নির্দিষ্ট জায়গায় জানাতে হবে। দল করলে দলের নীতি আদর্শ মানতে হবে। এমন কোনও কথা বলা যাবে না যাতে দল অস্বস্তিতে পড়ে। এদিন হুমায়ুনকে একথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বিষয়ে মুখ খুলেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ওকে অনেক বুঝিয়ে বলা হল। তুমি কিন্তু দলের বাইরে নও। তোমার মনে ক্ষোভ, দুঃখ, অভিযোগ থাকবে। কিন্তু সেটা জানানোর জায়গা আলাদা। জনসমক্ষে একথা বলতে পারো না। ওকে জিজ্ঞেস করি, তুমি কি সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ হওনি? ও বলল, হ্যাঁ হয়েছি। তাহলে তো সংবিধান মেনে চলতেই হবে। এটাই ওকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে’।





Made in India