বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। নানা ক্ষেত্র থেকে উঠে আসছে এই একই অভিযোগ। মমতা সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। তবে এবার উলোটপুরান! ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) ক্যাম্পের খাবারের বিল নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayat Pradhan)।
কি অভিযোগ? বর্ধমান-২ ব্লকের কুড়মুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারা মালিকের অভিযোগ ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে খাবারের বিল নিয়ে দুর্নীতি চলছিল। খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাসুদেবের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন তিনি। প্রধান বাধা দেওয়ায় তাকে কুকথা শুনিয়েছে ‘সহকর্মীরা’। রাগে-অভিমানে পদত্যাগ করেছেন প্রধান মশাই।
কি হয়েছিল? জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত এলাকায় ষষ্ঠ দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের অংশ নেওয়া কর্মীদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করেছিল পঞ্চায়েত। প্রায় দুশোজনকে দুপুরে ডিম-ভাত খাওয়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু খাবার সরবরাহকারী সংস্থা মোট আড়াইশো জনের বিল জমা দেয়। পাশাপাশি প্ৰতি প্লেট ডিম-ভাতের জন্য ৬৫ টাকা করে বিল ধরে ওই সংস্থা।

এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। প্রধান বিলে সই করতে অস্বীকার করায় উপপ্রধানের অনুগামীরা প্রধানকে নানাভাবে হেনস্তা ও গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ তারাবাবুর। এই ঘটনার পর শুক্রবার বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমাকে দিয়ে জোর করে অনিয়ম করাতে চাইছিল। বেশি সংখ্যক মিল ও বেশি দামের বিলে সই করাতে চাইছিল। সই না করায় অপমানিত হতে হয়েছে।”
তার সংযোজন, “এর আগেও এই ধরনের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় হেনস্তা হতে হয়েছিল। বারবার অপমানিত হতে থাকায় পদত্যাগ করেছি।” অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে উপপ্রধান বাসুদেব দে বলেন, “যা করা হয়েছে সবটাই পঞ্চায়েতে রেজুলেশন করেই করা হয়েছে। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। প্রধান পদত্যাগ করেছেন কি না তা আমি বলতে পারব না।”





Made in India