বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে চলছে করোনার প্রকোপ, আর অন্যদিকে এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তাউকটের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর (weather office)। ১৪ ই মে অর্থাৎ আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে। তারপর ১৬ ই মে তা গতি বাড়িয়ে উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল ও কর্ণাটকে।
আমফানের ক্ষত বুজে ওঠার আগেই, আরও এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। তবে এই ঘূর্ণিঝড় সাগরে শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলভাগে আছড়ে পড়লেও, বাংলায় এর প্রভাব না পড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বঙ্গবাসী।

জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকেও এই ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমে তা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসলেও, পরবর্তীতে তা তবে গতি বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।
ইতিমধ্যেই সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়ায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আর যারা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার কথাও বলা হয়েছে।

আজকের আবহাওয়া
বৃহস্পতিবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে এলাকার কয়েকটি জায়গায় একবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় এবং রাতের দিকে এলাকার কয়েকটি জায়গায় একবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।
আজকের দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হবে না বলেই জানা গিয়েছে। তবে সকালের এবং বিকেলের দিকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।





Made in India