বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একজোটে শিক্ষা দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। উঠে আসছে বিস্ফোরক সব অভিযোগ। আর এরই মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের অপসারিত রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
তৃণমূল (Trinamool Congress) মুখপাত্রের পদের পর বুধবারই কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যা নিয়ে বিস্তর চৰ্চা। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের নেতা। গতকালই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোর গলায় কুণাল দাবি করেন, ‘চাকরি বিক্রির কথা দল জানত।’
রাজ্যে দেদারে হয়েছে চাকরি বিক্রি, লাগাতার সর্বস্তরে হয়েছে নিয়োগে দুর্নীতি। আর সেই খবর অনেক অনেক আগে থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ছিল। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের অপসারিত রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। কুণাল বলেন, “রাজ্যে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা তার নাম করে টাকা তোলা হচ্ছে, আগে থেকেই দলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সেই খবর। এমনকী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও চাকরি বিক্রির কথা জানত দল।”
বিস্ফোরক দাবি করে কুণাল আরও বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা দল জানত বলেই ২০২১ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়নি। যা নিয়ে পার্থ গোঁসাও করেছিল। পার্থ একা নন, তার মত আরও একাধিক হেভিওয়েট নেতা চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। যারা এখন বহাল তবিয়তে দলে রয়েছে।’

আরও পড়ুন: মাথায় বাজ! ঠিকভাবে কাজ না করলেই… ঘুম উড়ল রাজ্যের এই সরকারি কর্মীদের
কুণালের কথায়, “চাকরি বিক্রি করে কেউ না কেউ অন্যায় করেছে। সেই লোক এখনও মন্ত্রিসভায় নিজের পদে বহাল আছে। চাকরি বিক্রিতে যুক্ত তিনি এখনও রাজ্যের মন্ত্রী।” তৃণমূল নেতার দাবি, ‘আজ নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যে পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সেটা আগে ছিল না।’
কুণালের কথায়, ‘SSC’র সদিচ্ছা থাকলে আগেই এই সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু সেসব না করে কেউ কেউ এখনও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তবে এত কিছুর পরও দল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা তার নেই। তিনি তৃণমূলের সৈনিকই রয়েছেন, তাই থাকবেন।





Made in India