বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল মুখপাত্র ঋজু দত্তকে মানহানির নোটিশ পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত ৩০ অক্টোবর দলের তরফ থেকে বিজয়া সম্মেলনীতে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২-তে গিয়েছিলেন ঋজু (Riju Dutta)। সেখানে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন তিনি। তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
-
শুভেন্দুর মানহানির নোটিশ পাঠানো নিয়ে কী বললেন ঋজু (Riju Dutta)?
বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর আইনজীবী তৃণমূল মুখপাত্রকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। সেখানে লেখা, ঋজুর এই মন্তব্যের ফলে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সম্মানহানি হয়েছে। সেই সঙ্গেই মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের পরিবারের সম্মানেও আঘাত লেগেছে। সেই কারণে তৃণমূল নেতাকে নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। নাহলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এই প্রসঙ্গে বাংলা হান্টের তরফ থেকে ঋজু দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, শুভেন্দুর তরফ থেকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তিনি ক্ষমা চাইবেন না। সেই সঙ্গেই ৩০ তারিখের বিজয়া সম্মেলনীতে ঠিক কী বলেছিলেন সেটাও জানান তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।
আরও পড়ুনঃ জেলের মধ্যেই অঝোরে কান্না! কারণ জিজ্ঞেস করতেই সঞ্জয় যা বলল … তুমুল শোরগোল
ঋজু বলেন, ‘দলের তরফ থেকে আমি বিজয়া সম্মেলনীতে ৩০ তারিখ নন্দীগ্রাম ২ তে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি বলি, যে শুভেন্দু অধিকারী এখন সনাতন ধর্মের ধারক আর বাহক হয়েছেন, তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, ইফতারে মাথায় টুপি পরে নামাজ পড়তেন … শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রাম ১-এ সাহাবুদ্দিন বলে একজন রয়েছেন, সেই সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তিনি গরুর মাংস খেতেন এবং পার্সেল করে নিয়ে যেতেন’।

তৃণমূল নেতার কথায়, শুভেন্দু অধিকারীর হয়তো মনে হয়েছে আমি এগুলো মিথ্যে কথা বলেছি। সেই কারণে উনি নিজের আইনজীবীকে দিয়ে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন। ঋজু (Riju Dutta) বলেন, ‘আমি সেটা গ্রহণ করেছি। উনি বলেছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে। ক্ষমার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে আদালতে দেখা হোক’।





Made in India