বাংলা হান্ট ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি র দ্বারস্থ হন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে এই বিষয় বেশ কয়েকবার মার্কিন রাষ্ট্রপতির মধ্যস্ততা দেখা যায়। কিন্তু ফ্রান্সের বিয়ারিৎজ় শহরে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে কাশ্মীর নিয়ে কোনো মধ্যস্ততা মানবেনা ভারত।এইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে বিষয়টির খুব ভাল সমাধান করতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।মার্কিন রাষ্ট্রপতির এইরকম বক্তব্য একদিক থেকে ভারতেরই কূটনৈতিক জয় বলে মনে করছে অনেকে।

মাসখানেক আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ট্রাম্পের ওয়াশিংটন বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি অস্থিরতা তৈরি হয়। মোদী সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তা এক ধাপ এগিয়ে যায় বলে মনে করে অনেকে।তবে মোদীর সাথে ট্রাম্পএর পর এই অস্থিরতা কিছুটা প্রশমিত করা গেছে বলে মনে করেছে অনেকে।
সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এমনই যে কাবুলে শান্তি বজায় রাখতে হলে পাকিস্তান কে সঙ্গে রাখতেই হবে আমেরিকাকে। তবে ভারতকেও নারাজ করতে পারবেনা মার্কিন মুলুক।
গত কাল রাতেই বিয়ারিৎজ় মোদীর সাথে নৈশ ভোজের পর ট্রাম্প এর বক্তব্য, ‘‘গত রাতে আমরা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী সত্যিই মনে করেন যে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাঁরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথাও বলবেন। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা দুই পক্ষ মিলে খুব ভাল কিছু করবেন।’’
কাশ্মীর নিয়ে মোদীর বর্তমান বক্তব্য, ‘‘১৯৮৭ সালের আগে পর্যন্ত ভারত এবং পাকিস্তান একসঙ্গেই ছিল। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারব। এই নিয়ে তৃতীয় কোনও দেশকে কষ্ট দিতে চাই না আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনের পর আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোন করি, তখন বলেছিলাম যে, পাকিস্তানকে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। নিরক্ষরতা এবং অসুখের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বলেছিলাম, মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’’





Made in India