অজয় রায়, বাংলা hunt :কার্ডিফ থেকে বিস্ট্রল ,দুই প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ান দের বেহাল খানিকটা অবাক করলো কাল।প্রথমে দক্ষিন আফ্রিকার কাছে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা , আর অন্যটি আফগানদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ পাকিস্তানের।
ওয়ার্ম – আপ ম্যাচ, বিশ্বকাপের আগে ড্রেস রিহার্সাল , সেখানে নিজেদের ভালো – খারাপ দিক গুলো দেখে নিচ্ছে দল গুলো।দেখে নিচ্ছি আমরাও, এবং সেই দেখে নেওয়াতে পাকিস্তানের অবস্থা খুব শোচনীয় বলেই মনে হলো।
এখনও অবধি টানা ১১ টি ওয়ানডেতে হার,সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের সিরিজে শোচনীয় অবস্থা।সিরিজ শেষে তরিঘরি দলে সুযোগ দেওয়া হলো ওয়াহাব রিয়াজ এবং মহম্মদ আমিরকে।কিন্তু দলের হাল ফিরলো কতটা ?
আসলে এই পাকিস্তান , ” দল ” হিসেবে তৈরী নয়, শেষ হওয়া ইংল্যান্ড সিরিজ হোক অথবা কালকের প্রাকটিস ম্যাচ কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেলোনা।

এদিন সরফরাজরা করেছে ২৬২,যেখানে বাবর আজমের একা ১১২ , ইতিমধ্যে তাকে “পাকিস্তানের বিরাট কোহলি ” বলা শুরু হয়েছে , আর যেইদিন বিরাট কিছু পারবেনা , সেইদিন দলের ধোনি কি করবে এখন সেইটাই দেখার।যদিও এইদিন সরফরাজ আউট হয়েছে আনলাকি ” ১৩ ” তে।নবি – রশিদের স্পিন জুটি পাকিস্তানের পাঁচ জনকে ফিরিয়ে দেয় ভালো ভাবে ব্যাটিং করতে আগে,এছাড়া বাবরকে ফেরায় জারদান।
৫০ ওভারে আফগানিস্তানকে করতে হতো ২৬৩, যা এই পিচে কিছুই না, এবং ঠান্ডা মাথায় সেটাই করে দেখালো আফগানরা।ওপেনে নেমে শেহজাদ রিটায়ার হলেও পাক বোলারদের বেধড়ক ঠেঙিয়ে গেলো জাজাই, ২৮ বলে ৪৯ করেন তাদের, এরপর ঠাণ্ডা মাথায় শেষ অবধি ম্যাচ শেষ করে শাহিদি।রিয়াজ- আমির – হাসনাইন- আফ্রিদি – সাদাব – ওয়াসিম সম্বলিত বোলিং লাইন কেউ শাহিদির প্রাকটিস বন্ধ করাতে পারলো না।বরং পাক বোলারদের ঠেঙিয়ে ৩১ তারিখ , অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামার আগে খানিকটা মনোবল বাড়িয়ে রাখলো বছর ২৪ এর এই বা – হাতি ব্যাটসম্যান।
গত , ইংল্যান্ড সিরিজে পাক কোচ মিকি আর্থারের মতে দলের কিছু ব্যাটিং পারফরম্যান্স স্বান্তনা- প্রাপ্তি হলেও, এদিন তার প্রাপ্তি আজমের সেন্চুরি এবং রিয়াজের নেওয়া তিন উইকেট।দলে সুযোগ পাওয়ার পর রিয়াজ বলেছিলেন কোচ কে ভুল প্রমান করেই ছাড়বেন, সেই কাজ প্রাকটিস ম্যাচ থেকে শুরু করলেন তিনি।
সব মিলিয়ে গা গরম করার ম্যাচে আফগানদের গা গরম হলেও সরফরাজদের শরীর কিন্তু ঠান্ডায় কুকড়ে গেল।আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যদি দলের এই হাল হয় ,তা হলে বাকী দলের বিরুদ্ধে কি করবে ” ইমরানের দেশ “?
অন্যম্যাচে, প্রত্যাশিত ভাবেই কার্ডিফে হেরে গেলো শ্রীলঙ্কা।এবছর এই দলটা নিয়ে আমার খুব একটা আশা নেই , এমনকি লিগের দশ নম্বরে শেষ করলেও অবাক হবার কিছু নেই।
এদিন ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার সামনে রানের পাহাড় গড়ে সাউথ আফ্রিকা।মিলার বাদে এদিন দলের সকলেই রানের পাহাড় গড়তে সাহায্য করেছেন, সবচেয়ে বেশি করেছেন অধিনায়ক দু – প্লেসিস।
পন্চাল ওভারে ৩৩৮ , এর লক্ষমাত্রা পেরোতে ২৫১ তেই হাফিয়ে গিয়ে শান্ত হয় লঙ্কান ক্রিকেটাররা।অধিনায়ক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন করুনারত্নে ( ৮৭), অন্যদিকে রাবাদা ,নিগদির বোলিংয়ের দিকে নজর থাকলেও এদিন নজর কেড়েছেন ফেলুকায়ো।সবশেষে একটা জিনিস ভেবে খারাপ লাগছে মালিঙ্গার শেষ বিশ্বকাপ টা ভালো কাটবে না, যদিও তিনি কটা ম্যাচ খেলবে সেটাও এখন প্রশ্নের বিষয়।





Made in India