বাংলাহান্ট ডেস্ক : একদিন পার হয়ে গিয়েছে আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) পর। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, একজন যাত্রী বাদে ওই বিমানে থাকা আর সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায় নাম রয়েছে সুমিত সভরওয়াল এবং ক্লাইভ কুন্দারের। একজন ছিলেন ওই অভিশপ্ত বিমানের পাইলট এবং অপর জন কো পাইলট। একজন এসে পৌঁছেছিলেন কর্মজীবনের শেষলগ্নে, অন্যজনের সবেমাত্র উজ্জ্বল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা (Plane Crash) দুজনেরই জীবন কাহিনিতে দাঁড়ি টেনে দিল।
কর্মজীবনের শেষে এসে পৌঁছেছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের (Plane Crash) পাইলট
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ এর পাইলট ছিলেন সুমিত সভরওয়াল। মুম্বইয়ের পাওয়াইয়ের বাসিন্দা সুমিতের ছিল একাই ৮২০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা। অত্যন্ত সুদক্ষ পাইলট সুমিতের বাবা ছিলেন ডিজিসিএ-র প্রাক্তন অফিসার। পরিবারের একাধিক জনকে বিমান চালকের (Plane Crash) পেশায় দেখেই এই পেশার প্রতি ভালোলাগা জন্মায় সুমিতের।
শোকস্তব্ধ মৃত পাইলটের বাবা: তাঁর বন্ধু অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সঞ্জীব পাই জানান, সুমিতের মতো শান্ত এবং দক্ষ পাইলট এই পেশার জগতে খুব কম। সহকর্মী বা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ কখনো আসেনি তাঁর নামে। তবে এবার এই চাকরি (Plane Crash) থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। অকৃতদার সুমিত ঠিক করেছিলেন, চাকরি ছেড়ে দিয়ে এবার বৃদ্ধ বাবার দেখভাল করবেন। তেমনটাই জানিয়েছিলেন বাবাকে। উড়ানের আগে শেষ ফোনটাও নাকি করেছিলেন বাবাকেই। বৃদ্ধ বাবা কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর।
কেরিয়ার সদ্য শুরু করেন কো পাইলট: অন্যদিকে ওই বিমানের (Plane Crash) কো পাইলট ক্লাইভ কুন্দার। মুম্বইয়ের বোরিভেলির বাসিন্দা ক্লাইভের পরিবারের একাধিক সদস্য বিমান সংক্রান্ত বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর মা ছিলেন কেবিন ক্রু। নতুন কর্মজীবন শুরু করা ক্লাইভ ইতিমধ্যেই ১১০০ ঘন্টা বিমান চালিয়ে ফেলেছিলেন।
আরো পড়ুন : পৌরাণিক কাহিনির চাহিদা তুঙ্গে, ছোটপর্দায় প্রথমবার আসছে ‘আদ্যাপীঠ’ নিয়ে সিরিয়াল
স্বভাবে হাসিখুশি, প্রাণচঞ্চল ক্লাইভ সহকর্মীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর আরো এক পরিচয় ছিল। সম্পর্কে তিনি বলিউড অভিনেতা বিক্রান্ত মাসের তুতো ভাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত তুতো ভাইয়ের জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি।