বাংলাহান্ট ডেস্ক: উরফি জাভেদ (Urfi Javed), নামটার সঙ্গে বা মানুষটার কাণ্ডকারখানার সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অভিনেত্রী হিসাবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু এখন আর অভিনয় করার প্রয়োজন পড়ে না তাঁর। ক্যামেরার সামনে এখনো আসেন উরফি। তবে সেটা নিজের পোশাক দেখানোর জন্য।
হ্যাঁ, উরফির কাছে সেগুলো পোশাক হলেও আমজনতার কাছে স্রেফ লাইমলাইটে আসার ফিকির। অনেকেই কটাক্ষ করেন, শরীর প্রদর্শন করে চর্চায় থাকতে চান উরফি। ট্রোল, সমালোচনা মাত্রা ছাড়ালে ফোঁস করে ওঠেন তিনিও। শুরু হয় নতুন বিতর্ক। কিন্তু যারা উরফির এই রূপটা দেখে নিন্দা করেন, তারা অনেকেই তাঁর অতীতের খোঁজ রাখেন না।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত জীবনের কিছু অন্ধকারময় সময়ের কথা শেয়ার করলেন উরফি। বাড়ির পরিবেশ একেবারেই ভাল ছিল না তাঁর। ছোট থেকেই অত্যাচারিত হয়েছেন তিনি। শারীরিক এবং মানসিক নিগ্রহ করতেন তাঁর বাবা। শুধু উরফিকেই নয়, তাঁর মা এবং অন্য বোনদের উপরেও অত্যাচার করতেন তাঁর বাবা।
উরফি জানান, প্রত্যেক দিন মারধোর করতেন তাঁর বাবা। রেহাই পেতেন না মা-ও। শুধু হাতে মেরেই শান্তি পেতেন না, রীতিমতো অশ্রাব্য গালিগালাজ করতেন। এমনকি নিজের মেয়েকে ‘যৌনকর্মী’ পর্যন্ত বলতে ছাড়তেন না! উরফি বলেন, ‘প্রতিদিন গালিগালাজ শুনতে শুনতে নিজের উপর ঘেন্না ধরে গিয়েছিল। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোনোরও অনুমতি ছিল না’।
তবে ফ্যাশনের প্রতি উরফির আগ্রহ ছোট থেকেই। টিভিতে বিভিন্ন পোশাক, ফ্যাশন শো দেখতেন তিনি। ফ্যাশনের ব্যাপারে তেমন জ্ঞান না থাকলেও নিজেকে একটু হটকে দেখানোর ইচ্ছা তাঁর চিরদিনই ছিল। উরফির কথায়, ‘যো দিখতা হ্যায় ও বিকতা হ্যায়। আমি চাদর জড়াতে চাই না, দেখাতে চাই। আমার মর্জি সেটা’।





Made in India