বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ আট মাসের মহাকাশ (Space) সফরের পর অবশেষে পৃথিবীতে (Earth) ফিরেছেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ছোটবেলায় আমরা সকলেই ইতিহাসে পড়েছি প্রথম মানুষ হিসাবে চাঁদের মাটিতে পা রাখেন নিল আর্মস্ট্রং। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না একাধিক মহাকাশ (Space) পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মানুষ ছাড়াও প্রাণীকূলের (Animals) একাধিক জীবকে প্রেরণ করা হয়েছিল মহাশূন্যের উদ্দেশ্যে। তেমনই কিছু প্রাণী সম্পর্কে জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনে।
মহাকাশের (Space) উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রাণী
• ১৯৪৮ সালে ভি২ রকেটে করে অ্যালবার্ট আই নামক একটি বাঁদরকে পাঠানো হয় মহাকাশে। যদিও এই মিশনে সফলতা পায়নি নাসা। পরবর্তীকালে একাধিকবার মহাকাশে বাঁদর পাঠালেও প্রতিবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তবে ১৯৫৯ সালে মিস বাকার ও অ্যাবেল নামক দুটি বাঁদরকে মহাকাশ থেকে সফলভাবে সুস্থ শরীর ফিরিয়ে আনা গিয়েছিল পৃথিবীতে।
• ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক ২ মহাকাশযানে করে লাইকা নামক একটি কুকুরকে মহাকাশে পাঠায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। যদিও সেই মিশন ছিল অসফল। তবে বেলকা ও স্ত্রেলকা নামক দুটি কুকুরকে ১৯৬০ সালে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ঘুরিয়ে সফলভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর মহাকাশের কী প্রভাব পড়তে পারে সেই পরীক্ষা চালাতেই বিজ্ঞানীরা কুকুর প্রেরণ করেছিলেন মহাকাশে।
আরও পড়ুন : আজকের রাশিফল ২৯ মার্চ, পড়াশোনায় বাজিমাত করবে এই চার রাশি
• শরীরের পেশী ও হাড়ের উপর মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানোর উদ্দেশ্যে ১৯৫০-এর দশকে ইঁদুর পাঠানো হয়েছিল মহাকাশে। বর্তমানেও একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহাকাশে ইঁদুর প্রেরণ করে থাকে নাসা।
• কোরাবল-স্পুটনিক ৪ মিশনের আওতায় ১৯৬০ সালে মহাকাশে গিনিপিগ পাঠিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই গিনিপিগগুলি সুস্থভাবেই ফিরে এসেছিল পৃথিবীর মাটিতে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে একাধিক তথ্য পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন : ৩ বছরে ৬১৫ শতাংশ রিটার্ন, বিনিয়োগকারীদের মালামাল করল ডিফেন্স সেক্টরের এই শেয়ার
• মহাকাশে হৃদযন্ত্র ও শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রভাব সম্পর্কিত গবেষণার জন্য ১৯৫৯ সালে লিটল মার্থা নামক একটি খরগোশ মহাকাশে পাঠিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
• মাইক্রোগ্রাভিটি ব্যাঙের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, সেই সম্পর্কিত গবেষণা চালানোর উদ্দেশ্যে নাসার অরবিটিং ফ্রগ ওটোলিথ মিশনের আওতায় ১৯৭০ সালে মহাকাশে পাঠানো হয় দুটি ব্যাঙকে।

• সোভিয়েত জোন্দ ৫ মিশনের আওতায় ১৯৬৮ সালে দুটি কচ্ছপকে পাঠানো হয় মহাকাশে। প্রথম প্রাণী হিসাবে চাঁদে ঘুরে পুনরায় পৃথিবীতে সুস্থ ভাবে ফিরে এসে নয়া রেকর্ড তৈরি করে এই দুটি কচ্ছপ।
• ১৯৬১ সালের ৩১ জানুয়ারি হ্যাম নামক একটি শিম্পাঞ্জিকে মার্কারি রেডস্টোন মিশনের আওতায় মহাকাশ ভ্রমণ করিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় পৃথিবীতে।





Made in India